ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ৪৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ বিকেলে স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন মিশনে আয়োজিত এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জাতিসংঘের উপমহাসচিব জেন এলিয়াসন বলেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘের মডেল সদস্য। গণতন্ত্রসহ সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অগ্রগতি হচ্ছে।
এর আগে কেক কেটে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।
মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের সূচনা করেন। এ সময় স্থায়ী মিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন এবং বর্তমান সরকারের উদ্যোগে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশের অগ্রযাত্রার ওপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শিত হয়। এতে তুলে ধরা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যা সেই রাতেই টেলিগ্রাম, টেলিপ্রিন্টার ও ওয়ারলেসের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, কূটনীতিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, যুক্তরাষ্ট্র ও নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মহাজোটের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া প্রতিনিধি, স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটি ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যগণ অভ্যর্থনায় অংশ নেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক বক্তৃতায় স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুসৃত সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়-এই নীতি অনুসরণ করছে। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘের সক্রিয় সদস্য। সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। গত ছয় বছর অর্থনীতিতে গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন, অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।