আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিলের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিরোধী জোট হরতাল-অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচি দেবে না। এ কর্মসূচি থেকে বিরত থাকলে তারা দেশবাসীর ধন্যবাদ পাবে। তিনি বলেন, হরতাল থাকলেও এবার সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের দুটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর মধ্যে সকাল ১০টা থেকে মনোবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র এবং দুপুর ২টা থেকে চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র পরীক্ষার সময় নির্ধারিত রয়েছে।
২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে নির্ধারিত ছিল পৌরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র, পৌরনীতি দ্বিতীয় পত্র, জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা দ্বিতীয় পত্র; ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি শর্টহ্যান্ড (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র।
একই দিন বিকেলে ছিল ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র এবং উচ্চাঙ্গসংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র।
২৭ এপ্রিল ছিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, পরিসংখ্যান প্রথম পত্র, উচ্চতর প্রকৌশল অঙ্কন ও জরিপ বিজ্ঞান প্রথম পত্র।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের কারণে ২০১৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পিছিয়েছে অনেকবার। প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর এ পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত তারিখ ছিল ২ ফেব্রুয়ারি। বারবার পিছিয়ে দেওয়ার কারণে দেড় মাসের বেশি সময়ে পরীক্ষা শেষ হয়নি। এর মধ্যেই ১ এপ্রিল শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
হরতাল-অবরোধের কারণে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কায় ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্যও পিছিয়ে দেওয়া হলো এ পরীক্ষা।
গত ১৮ মার্চ ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আসছে ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ করা হবে।