আইসিসির প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী দলের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেয়ার কথা বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের। কিন্তু এবার সম্ভবত সেই প্রথা ও রীতি ভেঙতে যাচ্ছে আইসিসি।
আইসিসির চেয়ারম্যান ও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক সভাপতি নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের ইচ্ছায় নাকি এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আনন্দবাজার পত্রিকার খবর।
কিন্তু হঠাৎ করে কেন প্রচলিত রীতি ভাঙছে আইসিসি? কেন অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল। তার পেছনে নাকি ওই ‘তিন মোড়লেরই চক্রান্তের হাত’।
চলতি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে রোষ উগরে দেয়ায় আইসিসিতে নাকি এখন চাপের মুখে বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী! অন্তত আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে তেমনটি দাবি করা হচ্ছে।
মোস্তফা কামালের সাথে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় বোর্ডের সাবেক প্রধান এন শ্রীনিবাসন নাকি আইসিসি প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, “ম্যাচের ফল আগেই ঠিক করা ছিল- জাতীয় যেসব কথা আপনি বলেছেন, তারপর আর এই প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ পুরস্কার আপনার হাত থেকে দেয়া শোভা পায় না।”
আইসিসির একাংশেরও মত সেরকমই। সর্বশেষ খবর, শ্রীনিবাসনই নাকি রীতি ভেঙ্গে নিজেই বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেবেন।
ইতিহাস বলে, আইসিসি প্রেসিডেন্ট সাধারনত বিশ্বকাপ জয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন। একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ট্রফি দিয়েছিলেন বেনজির ভুট্টো। তাছাড়া ১৯৯২ সালে যেমন ইমরান খানের হাতে ট্রফি তুলে দেন তখনকার আইসিসি প্রেসিডেন্ট কলিন কাউড্রি। গতবার (২০১১) ধোনির হাতে কাপ তুলে দেন শারদ পওয়ার। ১৯৯৯ সালে জগমোহন ডালমিয়া। এই পরম্পরা মেনে রোববার জয়ী দলের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিবেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট এটাই স্বাভাবিক।
আইসিসির নতুন গঠনতন্ত্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে। যাবতীয় সিদ্ধান্ত আইসিসি চেয়ারম্যানই নিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদ অলঙ্কারিক হলেও আভিজাত্যের নিরিখে শীর্ষে। বিশ্বকাপ হাতে তুলে দেওয়াটা তাঁরই অধিকার। চেয়ারম্যানের নয়।