গেল ২২ মাসে পাঁচশ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এছাড়া স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক হয়েছেন ১১৫ জন।
রোববার বিকালে রাজধানীর মগবাজারের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল হক এসব তথ্য জানান।
মহাপরিচালক দাবি করেন, “শুল্ক গোয়েন্দাদের তৎপরতার কারণে এ বছর গত বছরের তুলনায় অতিরিক্ত ৪৩২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। একই সঙ্গে এসময় চট্টগ্রামে মোট ২৬০টি অনিয়মের মামলায় ৩২ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে।”
ড. মইনুল হক বলেন, “এসবের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমদানি করা পণ্যের মিথ্যা বর্ণনা, কান্ট্রি অব অরিজিন, নিম্ন ভ্যালু ঘোষণাসহ নানা জালিয়াতির মাধ্যমে কিছু প্রতিষ্ঠান বারবারই ফাঁকি দিয়ে আসছিলো। কিন্তু গোয়েন্দাদের নজরদারির কারণে এ বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। পরবর্তীতে মামলা দায়ের করে ওইসব প্রতিষ্ঠানের চালানপত্র অনুসন্ধান করে এসব জালিয়াতির তথ্য পাওয়া যায়।”
তিনি উল্লেখ করেন, “গত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের প্রথম ৮ মাসে মোট ১২ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা আমদানির বিপরীতে ১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। আর এ বছর একই সময়ে ১২ হাজার ৪৬ কোটি টাকার বিপরীতে প্রায় ২ হাজার ১৪৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে মিথ্যা ঘোষণা ও জালিয়াতি হ্রাস পাওয়ায় সরকারের প্রায় ৪৩২ কোটি টাকার রাজস্ব সুরক্ষা হয়েছে।”
যে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের চালানে জালিয়াতি পাওয়া গেছে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- জি.কে ট্রেডার্স, দ্যা ওয়েসিস বাংলা করপোরেশন, ট্রেড সোর্স, জাপান স্টিল হাউজ, আরিফ অ্যান্ড আহনাফ স্টিল কর্পোরেশন, এএইচ স্টিল, লাবিব ট্রেডিং, আমার ট্রেডিং, রাহাত এন্টারপ্রাইজ, নূরানী স্টিল ট্রেডিং, এলিট স্টিল কর্পোরেশন, একেএম ইন্টারন্যাশনাল, ওয়াজ উদ্দিন আইরন স্টোর, বীর ট্রেডার্স, ট্রেড সোর্স।