ম্যাচে খেলতে পারে ১১ জন। স্কোয়াডে থাকতে পারে ১৫ খেলোয়াড়। কিন্তু এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে ছিল ১৬ জন। না, তাতে নিয়মভঙ্গ হয়নি। আইসিসি কোনো অভিযোগও করেনি।
কারণ ১৬ নম্বর খেলোয়াড়টি যিনি ছিলেন, সেই তিনি যে অভিযোগ আর নিয়মের ঊর্ধ্বে চলে গেছেন। ১৫ জনের বাইরে থেকেও, ১১ জনের দলে সুযোগ না পেয়েও অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ে সেই ষোড়শ খেলোয়াড়টির অনেক বড় ভূমিকা। তাঁকে অনুপ্রেরণা বানিয়েই তো বিশ্বকাপ জিতল অস্ট্রেলিয়া। আর তাই বিশ্বকাপ শিরোপাটাও উৎসর্গ করা হলো তাঁকেই। ফিলিপ হিউজ, বিশ্বকাপের মাত্র কদিন আগে ক্রিকেটই কেড়ে নিয়েছে যাঁর জীবন।
মাত্র পাঁচ আউন্স ওজনের ক্রিকেট বলটি কেড়ে নিয়েছিল হিউজের প্রাণ। বোলারের বাউন্সারের আঘাতেই জীবন থেমে যায় প্রতিশ্রুতিশীল অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের। বিশ্বকাপটি তাই ‘ছোট ভাই’ হিউজকেই উৎসর্গ করলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। শুধু তা-ই নয়। জানালেন, দলের ১৬তম খেলোয়াড় হিসেবে পুরো আসরজুড়েই নাকি দলের সঙ্গেই ছিলেন হিউজ!
এই তো গত নভেম্বরের ঘটনা। বোলার শন অ্যাবটের বাউন্সারটি মাথায় আঘাত করেছিল হিউজের। দুই দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হেরে যান। নিজের ২৭তম জন্মদিনের মাত্র তিন দিন আগে। তাঁর মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো ক্রিকেট-দুনিয়া। আজ বেঁচে থাকলে হয়তো দলের সঙ্গেই জয়োল্লাস করতেন হিউজ। আজকের জয়টা তাই হিউজকেই উৎসর্গ করেছেন অধিনায়ক।
ক্লার্ক বললেন, ‘আমাদের দলের সবাই জানে যে আমরা ১৬ জনের স্কোয়াড নিয়ে খেলেছি। হিউজ সারাক্ষণ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে দলের সঙ্গেই ছিল।’
হিউজের প্রসঙ্গ আসলে শোকের আবহও আসে। কিন্তু ক্লার্ক বলছেন, আনন্দের সঙ্গেই এই বিশ্বকাপ জয় উদ্যাপন করবেন তাঁরা। এর কারণটাও হিউজই। হিউজ নাকি দারুণ আমুদে ছিলেন। জয়ের পর বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠতে ভালোবাসতেন। তাঁর স্মরণেই আজকেও দারুণ ‘পার্টি’ করবেন ক্লার্করা। সূত্র : এএফপি।