কোন ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি বা অগ্নি দুর্ঘটনা নয়, ককপিট মনিটরের ভুল সিগন্যালের কারণেই শনিবার রাতে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে আগত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০৮৫ ফ্লাইটটির জরুরী অবতরণ করতে হয়েছে।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে রবিবার অতিরঞ্জিত ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিমান বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ শাখা প্রেরিত খান মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত ব্যাখ্যায় বলা হয়, এয়ারবাস ৩১০ বিমানটি সিঙ্গাপুর স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর ত্যাগ করে। উড্ডয়নের পর বিমানের ককপিট মনিটরে ‘ফ্লাইট ওয়ার্নিং ইনডিকেশন’ পরিলক্ষিত হলে প্রায় এক ঘণ্টা পর এয়ারক্রাফটি সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আবশ্যকীয় ত্রুটি সারানোর পর বিমানটি পুনরায় স্থানীয় সময় ৬:৩০ মিনিটে ঢাকাভিমুখে যাত্রা করে।
দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা নিরাপদে উড্ডয়নের পর ঢাকায় অবতরণের ৩০ মিনিট আগে ককপিট মনিটরে ২ নম্বর ইঞ্জিনে ফায়ার ওয়ার্নিংয়ের সঙ্কেত পাওয়া যায়। এ অবস্থায় পাইলট চেক লিস্ট অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঢাকার কন্ট্রোল টাওয়ারকে ‘জরুরী অবতরণের’ বার্তা পাঠান। যথাসময়ে পাইলট বিমানটি সম্পূর্ণ নিরাপদে অবতরণ ঢাকায় করান।
বিমানটির অবতরণ সময়কাল ও অবতরণ স্বাভাবিক ছিল। অবতরণকালে ফ্লাইটের যাত্রী, ক্রু এবং বিমানের কোনরূপ ক্ষতি হয়নি বা কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হননি।ঢাকায় অবতরণের পর বিমানটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ইঞ্জিনে কোন প্রকার আগুনের সৃষ্টি হয়নি।
ফায়ার ওয়ার্নিং সিস্টেমের ‘ভুল সংকেত’ পাঠানোর কারণে বর্ণিত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল মাত্র। উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে পরিলক্ষিত ত্রুটি এবং ঢাকা অবতরণের আগ মুহূর্তে প্রাপ্ত ফায়ার ওয়ার্নিং সিগন্যাল দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় ছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাংলাদেশ বিমানের এয়ারবাস-৩১০ বিমানটির দ্বিতীয় ইঞ্জিনে আগুন ধরে গেলে প্রায় ৫ ঘন্টা আকাশে কাটানোর পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে, যে ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।