১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা গ্রহণের সবরকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার ২৬-২৮ এপ্রিলের পরীক্ষা বাদে বাকি সব পরীক্ষা রুটিনমাফিক অনুষ্ঠিত হবে। এর কোনো ব্যাত্যয় হবে না।
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৪১৯টি কেন্দ্রে মোট ৮৩০৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০,৭৩,৮৮৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। এরমধ্যে ৫,৭০,৯৯৩ জন ছাত্র এবং ৫,০২,৮৯১ জন ছাত্রী। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবারই প্রথম তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০১৫ সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংএ এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন এবার বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধের কারনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা একটিও রুটিনমাফিক নেয়া সম্ভব হয়নি। এটি এদেশের পাবলিক পরীক্ষার ইতিহাসে একটি নেতিবাচক উদাহরণ হয়ে থাকবে।
সারাদেশে হরতাল-অবরোধের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ করায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, প্রশাসন, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “এবারও আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই। কোনোভাবেই দুষ্টচক্রকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বা ফেসবুকে প্রশ্নপত্রে নামে সাজেশন প্রকাশ করার সুযোগ দেয়া হবে না। আমাদের সবগুলো এজেন্সি তৎপর থাকবে, ধরতে পারলে কঠিন শাস্তির মুখোমুখী হতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের সকল ফটোকটি মেশিন বন্ধ রাখা হবে। কোচিং সেন্টারগুলো কড়া নজরদারিতে থাকবে।”
পরীক্ষার সময় নতুন কোনো হরতাল-অবরোধ না দেয়া এবং পাবলিক পরীক্ষাকে পূর্বের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির আওতাবহির্ভূত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি এসময় অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ইতোমধ্যে পরীক্ষায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য সকল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে শিক্ষাসচিবের স্বাক্ষরে আধাসরকারি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংএ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুবকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য বোর্ডের চেয়ারম্যারম্যানগণসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩৩৪টি কেন্দ্রে ২,৭৬,২২৭ জন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ১৮৪টি কেন্দ্রে ১,০৭,০৯ জন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ১৭৫টি কেন্দ্রে ১,০০,৯৭৪ জন, যশোর শিক্ষা বোর্ডে ২১২টি কেন্দ্রে ১,১৬,৯০৫ জন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ৯২টি কেন্দ্রে ৮০,৬৯৩ জন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ১০৯টি কেন্দ্রে ৫৬,৬০০ জন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৭৫টি কেন্দ্রে ৫৮,০৬৩ জন, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ১৮২টি কেন্দ্রে ৯০,৩৮১ জন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৪১৮টি কেন্দ্রে ৮৪,৩৬০ জন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৬২০টি কেন্দ্রে ৯৮,২৪৭ জন, ডিআইইবিএস-এ ১৮টি কেন্দ্রে ৪,৩৪৪ জন
পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৭তম ফ্লোরে ১৭২২ নম্বর কক্ষে একজন উপসচিবের দায়িত্বে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু থাকবে। তার মোবাইল ফোন নম্বর- ০১৭১১-৩১৭১৩৬। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর: ৯৫৪৯৩৯৬, ০১৭৭৭-৭০৭৭০৫ ও ০১৭৭৭-৭০৭৭০৬।