বুধবার সকালে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে উত্তর ও দক্ষিন সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা গেলো দুই সিটিতে কাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হলো এবং আরা নির্বাচনে লড়তে পারছেন না মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কারনে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত ১৯ জন প্রার্থী হলেন - শামছুল আলম চৌধুরী, চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিদ্দিকী, আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, ববি হাজ্জাজ, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, বাহাউদ্দিন আহমেদ, নাদের চৌধুরী, কাজী মো. শহীদুল্লাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, আনিসুল হক, সারাহ বেগম কবরী, মো. আনিসুজ্জামান খোকন, তাবিথ আওয়াল, মো. জামান ভূঞা, শেখ শহিদুজ্জামান, মো. জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকী, মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী, শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ ও মোস্তফা আজাদী।
উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনলেও তাঁদের মধ্যে জমা দেন ২১ জন। এর মধ্যে বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও নাইম হাসানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
অভিযোগ, মিন্টুকে সমর্থনকারী ব্যক্তি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার না হওয়া এবং নাইম হাসান নামের প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন
ঢাকা দক্ষিন সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত ২৩ জন প্রার্থী হলেন - মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ, মো. আব্দুল খালেক, মো. জাহিদুর রহমান, আবু নাছের মুহাম্মদ মাসুদ হোসাইন, মো. বাহারানে সুলতান বাহার, এ এস এম আকরাম, শাহীন খান, দিলীপ ভদ্র, মো. শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, মোহাম্মদ শফি উল্লাহ চৌধুরী, মো. আবদুর রহমান, মো. আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মশিউর রহমান, এ এম আসাদুজ্জামান রিপন, মো. ইমতিয়াজ আলম, মো. গোলাম মাওলা রনি, এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আয়ুব হুসেন ও কাজী আবুল বাশার।
দক্ষিন সিটি করপোরেশনে ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনলেও তাঁদের মধ্যে ৫জন তা জমা দেননি। মোট জমা দেওয়া ২৬ প্রার্থীর মধ্যে আজ বাতিল ঘোষণা করা হয় ২ জনের মনোনয়ন পত্র।
এর মধ্যে রয়েছে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টুর মনোনয়নপত্র। এছাড়াও বাবুল সরদার চাখারি ও রেজাউল করিম নামে আরও দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঋণখেলাপি হওয়ায় বাবুলের এবং আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় রেজাউলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
অবশ্য মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী তিনিদিনের মধ্যে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবেন।