‘মানুষের চেতনাকে শাণিত করার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্র অনন্য এক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “চলচ্চিত্রকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও অরাজকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত করুন।”
চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধকে যথাযথভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০১৫ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বিল উত্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এফডিসি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটিকে আমরা জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা করেছি।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সরকার বহুমাত্রিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাণকেন্দ্র এফডিসির আধুনিকায়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। চলচ্চিত্র প্রদর্শন ব্যবস্থা ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। অস্বচ্ছল শিল্পী, কলাকুশলীদের আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি সরকার তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেছে। জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলীসহ সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের আয়োজনে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০১৫’ উদ্যাপনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।