বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বিকাশের লক্ষ্যে ৬৪ জেলায় ৩০০টি সিনেমা হল ডিজিটালাইজ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে হত্যার পর চলচ্চিত্রেও বিপর্যয় নেমে আসে। চলচ্চিত্র শিল্পে অশ্লীলতা স্থান করে নেয়।আগে বিনোদনের একটা জায়গা ছিল। ধীরে ধীরে পরিবার-পরিজন নিয়ে সিনেমা দেখার পরিবেশ হারিয়ে যেতে থাকে। এই বৈরি অবস্থার মধ্যেও আমাদের কিছু তরুণ এগিয়ে আসে। তারা কিছু নান্দনিক চলচ্চিত্র উপহার দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র একটি সৃজনশীল ও শক্তিশালী গণমাধ্যম। জনসাধারণের ওপর যার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। শিক্ষার প্রসার, মেধার চর্চা, সামাজিক কুসংস্কার দূর করা, জাতি গঠন এবং প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণেও চলচ্চিত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী হাতিয়ার।
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃজনশীল ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ আপনাদের অনুসরণ করে। সুতরাং সমাজের অন্য মানুষের চেয়ে আপনাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি চলচ্চিত্রের দৃশ্য, সংলাপ, গল্প এবং নির্মাণ কৌশল এমন হতে হবে যে, তা যেন পরিবারের সকলে একসঙ্গে বসে দেখতে পারে।
সম্প্রতি বেশ কিছু চলচ্চিত্র দেশে ও বিদেশে সাফল্য অর্জন করায় শেখ হাসিনা এর প্রশংসা করে বলেন, আমাদের অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্ব ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। সার্বিকভাবে এটা বলা যায় যে, আমাদের চলচ্চিত্র সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সভাপতিত্ব করেন এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তথ্যসচিব মর্তুজা আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন।
অনুষ্ঠানে ২৫টি বিভাগে মোট ২৮ জন অভিনেতা, অভিনেত্রী, শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক ও কলাকুশলীকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ প্রদান করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষে সারাহ বেগম কবরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, এই স্বীকৃতি তাদের পথচলায় অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং সৃজনশীল, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক চলচ্চিত্রকারদের এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিরিশের দশকে মানিকগঞ্জের হিরালাল সেন ঢাকায় প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শন করেন। তবে বিভিন্ন কারণে এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায়নি। বিশেষ করে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং মানসম্মত ষ্টুডিও না থাকায় আমাদের চলচ্চিত্র নিমার্ণ পিছিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিষয়টি অনুধাবন করে এবং চলচ্চিত্রের শক্তির কথা ভেবে স্বাধীনতার পর পরই চলচ্চিত্র নির্মাণ ও বিপণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এর আগে বঙ্গবন্ধু যখন শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম ও দুর্নীতি দমন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তখন চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেন এবং ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল এই বিল প্রাদেশিক পরিষদে অনুমোদিত হয়। একই দিনে বিলটি আইনে পরিণত হয় এবং এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এরপর আমাদের চলচ্চিত্রকারদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিগত ছয় যুগেরও বেশি সময় ধরে এ দেশে অনেক জননন্দিত ও রুচিশীল ছবি নির্মিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে জাতির অগ্রগতিকে স্তব্ধ করে দেয়া হয়। প্রগতির পথকে রুদ্ধ করা হয় এবং সমাজের সর্বক্ষেত্রে অবক্ষয় নেমে আসে।
তিনি বলেন, এর প্রভাব পড়ে চলচ্চিত্রেও। চলচ্চিত্র শিল্প থেকে লোপ পায় নান্দনিকতা ও সৃষ্টিশীলতা। চলচ্চিত্র শিল্পে দেখা দেয় মেধা, মনন ও রুচির শূন্যতা। অনৈতিকতা, অশ্লীলতা এবং সহিংসতা অমাাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনকে জেঁকে বসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষাটের দশকে চলচ্চিত্রের যে বর্ণিল যাত্রা শুরু হয়েছিল, ৭০ দশকের মাঝামাঝি থেকে এ অঙ্গনে শুরু হয় অন্ধকার যুগ। ফলে শহুরে মধ্যবিত্তরা হলে যাওয়া ছেড়ে দেন। এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীই কিন্তু চলচ্চিত্রের প্রধান দর্শক।
তিনি বলেন, অবশ্য আশির দশকের মাঝামাঝি এসে একদল তরুণ নির্মাতা দেশে নতুন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহী হন। তারা কিছু নান্দনিক চলচ্চিত্র উপহার দেন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমাদের সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে আমরা অনেক কাজ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাণ, বিতরণ ও প্রদর্শন সংশ্লিষ্ট কর্মকা-কে আমরা শিল্প হিসেবে মর্যাদা দিয়েছি। এছাড়া চলচ্চিত্রের কাঙ্ক্ষিত উন্নযন নিশ্চিত করতে ফিল্ম নীতিমালা ২০১০ প্রবর্তন এবং ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাস্টার প্লান প্রণয়ন ও এফডিসির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য ৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহিত করতে প্রতিবছর ৬ থেকে ৭টি পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। বিগত ৬ বছরে এ জন্য ৮ কোটি টাকার বেশি অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণকেও উৎসাহিত করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পূর্ণদৈর্ঘ শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র নির্মাণেও সরকারি অনুদান দেয়া হচ্ছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান নিয়মিত করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্রপ্রেমী ও দর্শকদের হলমুখী করার জন্য সিনেমা হলগুলোকে ডিজিটালাইজ করা ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ সিনেমা হল এবং পর্যায়ক্রমে ৩০০ হলকে ডিজিটাল করার বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন সিনেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৩৫ শতাংশ সম্পূরক কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সিনেমা হলে ভ্যাট ব্যতিত এখন আর কোন কর প্রদান করতে হয় না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ৬৪টি জেলা সদর ও ৪টি উপজেলায় তথ্য কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি কমপ্লেক্সে একটি করে থিয়েটার হল তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, আকাশ-সংস্কৃতির দুয়ার উন্মুক্ত হওয়ার ফলে চলচ্চিত্র এখন অনেক বেশি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদের চলচ্চিত্রের গুণগত মানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। চলচ্চিত্র তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব ক্রমশই বাড়ছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে নতুন প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
পাশাপাশি অভিনয় এবং কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে শুধু সরকারি পদক্ষেপই দর্শকদের হলমুখী করার পক্ষে যথেষ্ট নয়। দর্শকদের হলে ফিরিয়ে আনতে হলে একদিকে যেমন ভাল ছবি নির্মাণ করতে হবে, তেমনি সিনেমা হলের পরিবেশও ভাল করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও জীবনঘনিষ্ঠ অনেক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। আমাদের ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো একদিকে যেমন দর্শক নন্দিত হয়েছে, তেমনি ব্যবসা সফলও হয়েছে।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শুধু চিত্তবিনোদনের মাধ্যমই নয়, এটি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার বাহনও। সাধারণ দর্শক, বিশেষ করে শিশু, নবীন ও যুব সমাজের মনে চলচ্চিত্রের প্রবল প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তিনি বলেন, চিত্তবিনোদনের পাশাপাশি বেশ কিছু মানুষের জীবন-জীবিকা এই শিল্পর ওপর নির্ভরশীল। তাই নান্দনিক এই শিল্প মাধ্যমকে উপেক্ষার কোন উপায় নেই। প্রধানমন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করে বলেন, এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা ব্যবসা নিশ্চয়ই করবেন, কিন্তু নির্মল আনন্দ, শিল্পমান অক্ষুণ্ণ রেখে তা করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র জীবনের প্রতিচ্ছবি। জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতা থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে পারে। মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব। তাই আগামী ও নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে বেশি বেশি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি নির্মাণের জন্যও আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, নানা বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ আর পরনির্ভরশীল দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনৈতিক, সামাজিক, নারীর ক্ষমতায়ন সবগুলো সূচকেই আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তুলে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ এর ২৫টি ক্যাটাগরির মধ্যে ১৭টিতে জিতেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি। শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ইমপ্রেসের প্রযোজনায় গাজী রাকায়েত পরিচালিত `মৃত্তিকা মায়া` ছবিটি। এ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর, শ্রেষ্ঠ পরিচালক গাজী রাকায়েত, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী, শ্রেষ্ঠ খলনায়কসহ সিংহভাগ পুরস্কার পেয়েছে।।
পুরস্কারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজনা গাজী রাকায়েত ও ফরিদুর রেজা সাগর (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র সারা আফরীন (শুনতে কি পাও), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে-তিতাস জিয়া (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে (যৌথভাবে)-মৌসুমী (দেবদাস) ও শর্মিমালা (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্বচরিত্রে-রাইসুল ইসলাম আসাদ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্বচরিত্রে-অপর্ণা (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খলচরিত্রে-মামুনুর রশীদ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী-স্বচ্ছ (একই বৃত্তে), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার-সৈয়দা অহিদা সাবরিনা (অন্তর্ধান), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক (যৌথভাবে)-এ কে আজাদ (মৃত্তিকা মায়া), শওকত আলী ইমন (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী), শ্রেষ্ঠ গায়ক-চন্দন সিনহা (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী), শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যৌথভাবে)-রুনা লায়লা (দেবদাস), সাবিনা ইয়াসমিন (দেবদাস), শ্রেষ্ঠ গীতিকার-কবির বকুল (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী), শ্রেষ্ঠ সুরকার-কৌশিক হোসেন তাপস (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার-গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার-গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা-গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক-মো. শরিফুল ইসলাম রাসেল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক-উত্তম গুহ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক-সাইফুল ইসলাম বাদল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক-কাজী সেলিম (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা-ওয়াহিদা মলি্লক জলি (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান-মো. আলী বাবুল (মৃত্তিকা মায়া)। ছবি : সাইফুল ইসলাম কল্লোল।