কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। শনিবার রাতে কালবৈশাখীর ছোবলে এ পর্যন্ত ২৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ১২ জনে।
কালবৈশাখীর তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশী প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বগুড়ায়। রোববার দুপুর পর্যন্ত সেখানে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, লণ্ডভণ্ড ওইসব জেলার অধিকাংশ এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। টেলিফোন লাইনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গাছপালা এবং কাঁচা আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে; রাজশাহীতে ৫, নওগাঁয় ১, নাটোরে ২, বগুড়ায় ১৪ ও পাবনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী : বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে জাহানারা বেগম, ইমাজ উদ্দিন, পবা উপজেলায় বড়গাছিতে আবুল হোসেন, গোদাগাড়ী চর আষাঢ়িয়াদহে মনোয়ারা বেগম (৪০) ও আরও একজন মারা গেছেন।
বগুড়া : কালবৈশাখীর ঝড়ে বগুড়ায় আরও নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উত্তরের এ জেলা। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১৪ জনে। এদের মধ্যে ১ জন শিশু, ৪ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ।
নওগাঁ : জেলার মান্দায় শাহানা বেগম (৩৫) নামে এক নারী দেয়ালচাপা পড়ে মারা গেছেন।
নাটোর : জেলার গুরুদাসপুরে বজ্রপাতে খোকন হোসেন (২৮) ও সিংড়ায় রাবেয়া বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
পাবনা : শহরের চাঁদমারী এলাকায় ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে জামউদ্দিন (৮০) নামে এক চা বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জামউদ্দিনের বাড়ি পাবনা পৌর সদরের চক গোবিন্দা মহল্লায়।
নিহতদের কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আবার কেউ দেয়ালচাপা পড়ে এবং কেউ গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।