আপিলেও বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকায় শেষ পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বিকল্প ধারার মাহী বি চৌধুরীকে( মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী) সমর্থন দিচ্ছে বিএনপি।
বিএনপির’র একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিট করার কথা বললেও তাতে কোন ফল আসবে না বলে মনে করে না বিএনপি। এটাকে মিন্টুর চালাকি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালও ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন এবং তা বৈধ হয়েছে। আর বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে।
বিএনপির ওই নেতা জানান, তারা কেউই ঢাকায় পরিচিত নন। তাদের পিতারা পরিচিত। আর রাজনীতিতে তাদের কোন কার্যক্রমও এর আগে দেখা যায়নি। তাদের কাউকেই সমর্থন দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
তাই সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে বিকল্প ধারার মাহী বি চৌধুরীকে সমর্থন দেয়ার চিন্তা করছে বিএনপি। এরইমধ্যে আলাপ আলোচনাও হয়েছে। বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান জানান, ‘বিএনপি মেয়র পদে ঢাকা উত্তরে কাকে সমর্থন দেবে তা পরিস্কার হতে আরো দু’একদিন সময় লাগবে। তবে পরিচিতি নেই এমন কেউ যে সমর্থন পাবেন না তা নিশ্চিত।’
জানা গেছে, ঢাকা উত্তরের ভোটর নয় এমন লোককে আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্রে সমর্থক করার বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেনা বিএনপির হাই কমান্ড। তারা এটাকে মিন্টুর নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কৌশল হিসেবেই দেখছেন। এবং এ জন্য মিন্টুকে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। আর একারণেই মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। যা বিএনপিকে ঢাকা উত্তরে বেকায়দায় ফেলেছে।
আহমেদ আযম খান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটা সরকারের কোন ষড়যন্ত্র কি না তাও দেখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন,‘ তাঁর মনোনয়ন পত্র যে সামান্য কারণে বাতিল হয়েছে তা বিস্ময়কর নানাদিক থেকে।’
প্রসঙ্গত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে ১৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। আর বাতিল হয়েছে মিন্টুসহ দু’জনের। অন্যজন হলেন নাঈম হাসান। সূত্র- দেশবিদেশ