“বিমান নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাবে, নির্দিষ্ট সময়ে আসবে; তা নিশ্চিত করতে পারলে সুনাম বৃদ্ধি পাবে” মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুট সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিমানের যাত্রী সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের মান উন্নত করা দরকার। সেই ক্ষেত্রে আমরা যদি দক্ষতা অর্জন করতে না পারি তাহলে পার্টনার খোঁজা দরকার। বিমানকে আন্তর্জাতিক মানের করতে হলে সে ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। বিমান নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাবে, নির্দিষ্ট সময়ে আসবে; তা নিশ্চিত করতে পারলে সুনাম বৃদ্ধি পাবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, পর্যটন নগরী হিসাবে কক্সবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করা হলে শুধু পর্যটকরাই ব্যবহার করতে পারবে না। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এবং পশ্চিম থেকে পূর্বে যাওয়ার সময় বিমান কক্সবাজারে রি-ফুয়েলিংও করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানকে লাভজনক করতে হলে কার্গো ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে কার্গো ছাড়া শুধু যাত্রী টেনে লাভজনক হওয়া সম্ভব ন্য।
বিমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স বিদেশেও বাংলাদেশের পরিচয় তুলে ধরে। আপনাদের পেশাদারিত্বের ওপর তাই দেশের সম্মানও জড়িত।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা শাহজালাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করার চেষ্টা করেছি। ৯৬ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার আগে বিমানবন্দরের যে অবস্থা ছিল, সেই সময়ের ছবি থাকলে বুঝতে পারতেন কী অবস্থা ছিল এই বিমানবন্দরের।
এসময় বাগেরহাটে একটি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ এবং সৈয়দপুর ও কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে রুপান্তরিত করার বর্তমান সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কেক কাটার পর নতুন উড়োজাহাজ দুটি পরিদর্শন করেন।
প্রায় ৩ বছর বন্ধ থাকার পর আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মাধ্যমে ৭টি অভ্যন্তরীণ রুট চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, যশোর, বরিশাল, সৈয়দপুর এবং কক্সবাজারে ফ্লাইট চালু করল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এর আগে গত শুক্রবার বিমান বহরে ‘ড্যাশ৮’ ও ‘কিউ৪০০’ মডেলের উড়োজাহাজ দুটি যোগ দেয়। আগামী সোমবার থেকে উড়োজাহাজ দুটি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। কানাডায় তৈরি ৭৪ আসনের উড়োজাহাজ দুটি মিসরের স্মার্ট এভিয়েশেনের কাছ থেকে ৫ বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এ উড়োজাহাজ দুটির নাম প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী। পূর্বে চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআরের নাম পালকী, রাঙাপ্রভাত, অরুণআলো এবং আকাশপ্রদীপ নামগুলোও দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
রোববার বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক উপদেষ্ঠা এইচ টি ইমাম, বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, বিমান বোর্ডের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এম জামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।