মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের রায় কার্যকরের দিনক্ষণ সরকার নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।
কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সোমবার সকালে আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
কামারুজ্জামানের রায় কতদিনের মধ্যে কার্যকর হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কবে, কখন রায় কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করবে সরকার। সেটা কবে হবে তা সরকারই ভালো জানে।
মাহবুবে আলম বলেন, এখন দুটি সুযোগ পাবেন কামারুজ্জামান। একটি হলো রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া, অপরটি তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা কবে বা কখন চাইতে হবে আইনে তার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। তবে আসামিকে প্রাণভিক্ষার জন্য যুক্তিসঙ্গত সময় দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতির কাছে মানবতাবিরোধী অপরাধীরা প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, ‘সংবিধানে বিষয়টি এখনো সংশোধন করা হয়নি। এ কারণে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
‘যুক্তিসঙ্গত সময়ে’র বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যুক্তিসঙ্গত সময় তো আর ৭ দিন বা ১৫ দিন হতে পারে না। জেল কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে তাকে কতক্ষণ সময় দিবে।
রিভিউ খারিজের আদেশ জেল কর্তৃপক্ষ কীভাবে পাবে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপিল বিভাগ থেকে ট্রাইব্যুনাল হয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আদেশ যেতে পারে। অথবা সরাসরি আপিল বিভাগ থেকে জেল কর্তৃপক্ষের কাছেও যেতে পারে। অবশ্য এরই মধ্যে সবাই তা জেনেই গেছে।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।