নেপালে ৭.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এতে বহু ভবন ও শত বছরের পুরনো বহু মন্দির ধসে পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫০ জনের।
আজ শনিবার এ কম্পন অনুভূত হয়। উৎসস্থল নেপালের লামজুং থেকে ৩৫ কিলোমিটার পূর্বে। ১১.৯ কিলোমিটার নিচে কম্পনের উৎসস্থল।
১২ মিনিট পরে দ্বিতীয়বারের জন্য কেঁপে ওঠে দেশের বিভিন্ন জায়গা। এর উৎপত্তিস্থল লামজুং থেকে ৪৯ কি. মি. পূর্বে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ প্রতিষ্ঠান ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
স্থানীয় সময় শনিবার সকালে আঘাত হানা ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে দেশটির কাঠমান্ডু, পোখরাসহ বেশ কিছু এলাকার ভবন ধসে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিএনএনের নেপাল প্রতিনিধি মনীষ শ্রেষ্ঠ হাসপাতালে পাঁচজনের লাশ দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। ভূমিকম্পে তিনিও আহত হয়েছেন।
ভূমিকম্পের খবর পেয়েই টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আক্রান্তদের সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভূমিকম্পে নেপালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পে কাঠমান্ডুতে অনেক ভবন ধসে গেছে। রাস্তায় ফাটল ধরেছে।বহু মানুষ আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, নেপালের পর শক্তিশালী ভূকম্পন হয়েছে উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থানে। দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় এক মিনিটেরও বেশি সময় ধরে কম্পন হয়। এ সময় লোকজন রাস্তায় বের হয়। এ ছাড়া ভারতের পাটনা, লক্ষ্ণৌ, কলকাতা, জয়পুর, চণ্ডীগরসহ কয়েকটি স্থানে ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে।