হিমালয়কন্যা নেপালে আবারও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। রোববার রাত ১০টায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
এ নিয়ে দেশটিতে ২৫ এপ্রিল শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর প্রায় দুই ডজন আঘাত এলো।
এর আগে ২৬ এপ্রিল রবিবার দুপুরেও ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ২৭ মিনিটের মধ্যে আরো দু’বার কেঁপে ওঠে নেপাল। রিখটার স্কেলে পরবর্তী দুই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ ও ৪.৭।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, রবিবার দুপুরের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তীব্বত সংলগ্ন নেপালের সীমান্তবর্তী কোদারি এলাকার ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।
রবিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে নেপালসহ একযোগে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ, ভারত।
রবিবারের ভূমিকম্পের পর কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন বিমানবন্দর এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়। ফলে আকাশ থেকেই ফিরে যেতে বাধ্য হয় নেপালে আসা কয়েকটি ফ্লাইট। তবে ভূমিকম্পের এক ঘণ্টা পর আবারও রানওয়ে খুলে দেওয়া হলে ফ্লাইট উঠানামা শুরু হয়।
২৫ এপ্রিল শনিবার স্থানীয় সময় ১১টা ৪১ মিনিটে নেপালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। গত আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে নেপালে নিহতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। নেপালের ভূকম্পনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ ও ভারতেও। ভারতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন আর বাংলাদেশে ৫ জন।
শনিবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর আগামী কয়েক সপ্তাহ দফায় দফায় আরো বেশ কিছু ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভে। সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি।