ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দু’দিনের ঢাকা সফরে স্থলসীমা চুক্তি ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয়ে সমঝোতা ও ঐকমত্য হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন-
১. আঞ্চলিক সন্ত্রাস, মানবপাচার এবং অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা-সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একমত হয়েছে দু’দেশ।
২. সীমান্তে অপরাধ কমাতে যৌথ তৎপরতা বাড়াতে, সীমান্তে মৃত্যু শূন্যতে আনতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে দুই দেশ।
৩. পদ্মার ওপর গঙ্গা ব্যারেজ তৈরিতে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। মোদি বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
৪. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি অতি শিগগরিই চূড়ান্ত করতে নরেন্দ্র মোদির কাছে অনুরোধ করেছেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মোদি জানিয়েছেন, মনু, মুহুরি, খোয়াই, ধরলা, দুধকমারের পানি বিষয়েও দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলবে।
৫. হিমালয়ের উৎসমুখে একক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের স্বার্থকে ব্যাহত করে কিছু করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন মোদি। এছাড়া টিপাইমুখে বর্তমানে যে বাঁধ প্রকল্পটি রয়েছে তা এভাবেই এগিয়ে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মোদি।
৬. ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জ্বালানি উত্তোলন এবং বাংলাদেশের বাগেরহাট, রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কাজ যথাসময়ে শেষ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
৭. বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আনার বাংলাদেশের দেওয়া প্রস্তাব সক্রিয় বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মোদি।
৮. নাগরিক প্রয়োজনে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে দু’দেশের সহযোগিতা এবং কারিগরি প্রশিক্ষণে অংশীদারিত্বের আশ্বাস দিয়েছেন মোদি।
৯. দিনাজপুরের ফুলবাড়ি দিয়ে ইমিগ্রেশন শিগগিরই চালু করার ব্যাপারে একমত হয়েছে দুই প্রধানমন্ত্রী।
১০. মংলা ও ভেড়ামারায় ভারতের বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরিতে একমত হয়েছে দু’দেশ।
১১. সমুদ্র ও নদীপথে যোগাযোগ সহযোগিতা এবং নদীপথের ড্রেজিং প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য ভারত চুক্তি নবায়ন এবং যৌথ উদ্যোগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
১২. খুলনা-কোলকাতা রুটে দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস চালুর বাংলাদেশের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
১৩. ঢাকা-কোলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের জন্য ভারতে একটি আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি।
১৪. বাংলাদেশে সৌরশক্তি প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি।
এছাড়াও বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। হয়েছে বেশকিছু সমঝোতা-সই। মোদির সফর শেষে যার বিস্তারিত জানা যাবে।