বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মাউন্ট এভারেস্টজয়ী দুই বাংলাদেশি নারী নিশাত মজুমদার ও ওয়াসফিয়া নাজরীনের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেরিতে খেলা শুরু করলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এখন আর ছোট করে দেখার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এ সময় ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের ভূয়সী প্রশংসা করে আগামীতে আরো ভালো খেলবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সালমার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘আপনাদের মহিলা ক্রিকেটার সালমা খাতুনের ছবি আমি দেখেছি। এটা নারীর ক্ষমতায়ন আর তারুণ্যের শক্তির প্রমাণ। এটা শুনলে কত গর্বই না হয়।’
কদিন আগে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজের প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, ‘কিছুদিন আগে একটা সিরিজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের তরুণেরা দুর্দান্ত ভালো করেছে। আপনাদের একজন ক্রিকেটার আছে, সাকিব আল হাসান।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির গ্রাফটি এ দেশের অর্থনীতির উন্নতির একটি ছাপ বলে মন্তব্য করেন তিনি। মোদি বলেছেন, ‘দেখুন বাংলাদেশের উন্নতির ধারা কত গতিশীল। ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে অনেক পরে। কিন্তু আজ ভারতসহ ক্রিকেটের সব বড় দেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আর ছোট দল হিসেবে ভাবার সাহস পায় না। আপনারা অনেক দেরিতে শুরু করে এরই মধ্যে বিশ্বে জায়গা করে নিয়েছেন। এটা বাংলাদেশের কৃতিত্ব।’
ভারতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসার ঠিক আগের দিন আজ রোববার সন্ধ্যায় সফরের দ্বিতীয় ও শেষ দিন এ কথা বলেন মোদি। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ বক্তৃতা অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
মোদি এর পর নিশাত ও ওয়াসফিয়ার কথা বলেন। মোদি বলেন, ‘দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে তারা এভারেস্টের উচ্চতা ছুঁচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের শক্তি। আর এটা নিয়ে আমিও গর্ব করি।’
ঢাকা সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরো বলেছেন, নানা রাজনৈতিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও বাংলাদেশ বেশ কিছু ক্ষেত্রে দারুণ উন্নতি করেছে যা উন্নয়নশীল দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমাকে অভিভূত করে তোলে। ভারত শুধু বাংলাদেশের আশপাশে নয় তাদের সাথেও রয়েছে বলেও জানান মোদি।
বাংলাদেশে মোদির এই দুই দিনের সফরের দিকে শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্ব তাকিয়ে আছে- এমন কথা উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্থল সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে আমরা দুই দেশের মানুষের আত্মার বন্ধন ঘটিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সমাজের সব বিভাগের বিশিষ্টজনরা। ছিলেন রাজনৈতির দলের নেতা, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, এমনকি বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারাও।