ঢাকা সফরে একান্ত বৈঠকের সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তিনটি প্রশ্ন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে খুবই বিব্রত হন খালেদা জিয়া।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক ‘স্টেটসম্যান’-এর এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়।
দৈনিকটির দাবি, সফরসূচি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন বিএনপির চেয়ারপারসন। মোদির সঙ্গে তাঁর ১০ মিনিটের বৈঠকের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সময় পান এক ঘণ্টা। এর মধ্যে ১০ মিনিট একান্ত বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের সাবেক ও ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
স্টেটসম্যানের খবর অনুযায়ী, একান্ত বৈঠকের সময় খালেদা জিয়াকে করা মোদির প্রথম প্রশ্ন ছিল, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যেদিন সাক্ষাতের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল, সেটা বানচাল করতে কারা সেদিন ঢাকায় হরতাল ডেকেছিল?’
পত্রিকাটির দাবি, ওই প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জোটের শরিক দলগুলো হরতাল ডেকেছিল। এ উত্তর শুনে কোনো মন্তব্য করেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ওই খবর অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার কাছে মোদির দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল, “২০০৪-এ চীন থেকে চোরাগোপ্তাভাবে ১০ ট্রাক অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধভাবে খালাস করে ভারতীয় সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার যে আয়োজন করা হয়েছিল, সেটা ঘটেছিল ‘আপনার প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে। আর সেই গোপন আমদানির সঙ্গে আপনার ক্যাবিনেটের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী—স্বরাষ্ট্র ও শিল্পমন্ত্রী জড়িত ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, আপনি এবং আপনার দল ওই ঘটনার তদন্তে খুব একটা সাহায্য করেননি।’”
পত্রিকাটির দাবি, মোদির ওই প্রশ্ন শুনে খালেদা জিয়া বিব্রত হয়ে কোনো উত্তরই দেননি।
খবরে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে খালেদা জিয়াকে তৃতীয় প্রশ্নটি করেন মোদি। তিনি (মোদি) বলেন, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে জড়িত বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদের আড়াল করা উচিত নয় খালেদা জিয়ার। তাঁর (খালেদা জিয়া) উচিত, দোষী ব্যক্তিদের শাস্তিদানের জন্য তদন্তকারীদের সাহায্য করার আশ্বাস দেওয়া।
খালেদা জিয়া ওই প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দেননি বলে দাবি করে স্টেটসম্যান।
সফরের দ্বিতীয় দিন ৭ জুন রোববার বিকেল ৪টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।