প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব পুরস্কার বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করে দিলাম। বাংলার মানুষ কখনও মাথা নত করে না। বাংলার মানুষ সব সময় মাথা উঁচু করে চলে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে।
সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন আমি প্রিয় মাতৃভূমির মাটিতে পা রাখি তখন আমার কেউ ছিল না। বাংলার মানুষই আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। আজ যত পুরস্কার, যত অর্জন, সব বাংলার মানুষের জন্য। তাই আমি সব পুরস্কার বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করলাম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মেহনতি মানুষ যেন দুমুঠো ভাত পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশে ১৬ কোটি মানুষের বাস। উন্নয়ন করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবেশের ওপর চাপ পড়ে। পরিবেশের ভারসাম্য যেন রক্ষা হয় সেই পরিকল্পনা মতোই কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক চক্রান্ত হয়েছে, আজ বিশ্ব সভায় বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশ এবং ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ’ ও আন্তর্জাতিক টেলি কমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ পাওয়ায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ গ্রহণ করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ’ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এ দুই পুরস্কার লাভ করায় শনিবার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে তাকে ব্যাপক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।