বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই বহু আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনা। আর এতে স্বাভাবিকভাবেই আসে নানা ব্যক্তির নানা মত। ফলে ঝামেলা তৈরি হতেই পারে। আজকের এই লেখায় থাকছে কয়েকটি উপায়, যা ঝামেলা কিছুটা হলেও কমাতে আপনাকে সহায়তা করবে।
উপায় ১. আলোচনা করুন
আপনার বিয়ের অনুষ্ঠানে যারা গণ্ডগোল করতে পারে, এমন সম্ভাবনাময় ব্যক্তিদের সঙ্গে আগেই আলোচনা করুন। তাদের আপনার উদ্বেগের বিষয় জানান। এতে তারা অনেকেই বুঝতে পারবে যে, এটা আপনার জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আর এ দিনটিতে গণ্ডগোল করা আপনার জন্য কষ্টকর।
উপায় ২. নমনীয় থাকুন
আমন্ত্রিত অতিথীদের কোনো নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এক্ষেত্রে তাদের আসন বিন্যাসের মতো সাধারণ নিয়মগুলো জানিয়ে দেওয়ার পর তা নিয়ে জোর করার বিষয়টি বাদ দিন। এতে জটিলতা কমতে পারে।
উপায় ৩. ইতিবাচক চিন্তা
বিয়ের সময় নানা গণ্ডগোলের চিন্তা যেমন মাথায় রাখতে হবে তেমন বিষয়গুলো মাথা ঠাণ্ডা করে কিভাবে মেটানো যায়, তাও ভাবতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন ইতিবাচক মানসিকতা। অনেক বিষয় আছে যা, ভ্রুক্ষেপ না করলেও চলে। আবার অনেক বিষয় আছে যা আদতে বাজে বিষয় নয় নিছক রসিকতা। ফলে সব বিষয় ইতিবাচকভাবে দেখে তারপর করণীয় ঠিক করতে হবে।
উপায় ৪. কাজ ভাগ করে দিন
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কাজ ভাগ করে দিলে তা তাদের মাঝে বিভেদ ভুলে থাকতে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে কী কী কাজ আছে তা আগেই ঠিক করে নিন। এরপর তা বিভিন্ন ব্যক্তির মাঝে ভাগ করে দিন।
উপায় ৫. আসন বিন্যাসে কাজে লাগান বিচক্ষণতা
যদি কার সঙ্গে কার মনোমালিন্য হতে পারে এমনটা আগে থেকেই বোঝা যায়, তাহলে তাদের আসন বিন্যাসে কৌশল কাজে লাগান। এক্ষেত্রে বিবদমান ব্যক্তিদের মাঝে টেনশন কমবে।
উপায় ৬. বাড়তি সাহায্য নিন
যখন কোনো বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয় তখন হতাশ বা বিভ্রান্ত হবেন না। বিশ্বাসযোগ্য মানুষ সব সময়েই হাতের কাছে পাবেন। তাদের কাছে সাহায্য চান।
উপায় ৭. টাকা-পয়সার হিসাব
বিয়ের সময় উপহার হিসেবে কিছু অর্থও আসতে পারে। আর এ অর্থ যেন নির্ভরযোগ্য কারো হাতে থাকে সেটি নিশ্চিত হয়ে নিন। প্রয়োজনে একটি খাতায় লিখে রাখার ব্যবস্থা করুন।অন্যথায় এ অর্থ নিয়েও গণ্ডগোল হতে পারে।