ঢাকা: বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভারতের দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে শুরু হয় এই ভোটগ্রহণ।
দু’টি রাজ্যেই এবার একলা চলো নীতিতে চলছে বিজেপি। এ নির্বাচন তাই অনেকটা পরিণত হয়েছে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লড়াইয়ে। কারণ আসন ভাগাভাগি নিয়ে মোদীর আপসহীন মনোভাবের কারণে দুই রাজ্যেই ভেঙ্গে গেছে বিজেপির সঙ্গে শরীক দলগুলোর জোট। বিশেষ করে হিন্দু উগ্র মৌলবাদী দল শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির দীর্ঘ ২৫ বছরের জোট ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ হিসেবে সমালোকরা দুষছেন মোদীর একগুয়েমিকেই।
তাই আজকের নির্বাচনকে অভিহিত করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীত্ব লাভের পর মোদীর সবচেয়ে বড় জনপ্রিয়তার চ্যালেঞ্জ হিসেবে।
দুই রাজ্যেই অবশ্য বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা কংগ্রেসের সঙ্গে। তবে শিবসেনা ও শারদ পাওয়ারের এনসিপির মত আঞ্চলিক দলগুলোও হয়ে উঠবে এই ভোটের অন্যতম নিয়ামক।
ভোটের ফল গণনা করা হবে ১৯ অক্টোবর রোববার। মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় আসন রয়েছে ২৮৮টি। হরিয়ানায় রয়েছে ৯০টি। দুই রাজ্য মিলিয়ে আজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১০ কোটি ভোটার।
অবশ্য দু’টি রাজ্যেই লোকসভা নির্বাচনে বাম্পার আসন পায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। শিবসেনার সঙ্গে মিলে লোকসভা ভোটে বিজেপি জোট মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে জিতেছিলো ৪২টিই। এর মধ্যে বিজেপির ভাগে পড়ে ২৩টি। অপরদিকে হরিয়ানাতেও ১০টির মধ্যে সাতটিই জিতে নেয় বিজেপি।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি জয়ী হলেও মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই। তবে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে মহারাষ্ট্র বিজেপি প্রধান দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ অথবা সিনিয়র বিজেপি নেতা একনাথ খাসের মধ্যে একজনকে বেছে নেয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।
অপরদিকে হরিয়ানায় বিজেপি জিতলে ধারণা করা হচ্ছে জাঠ বংশোদ্ভূত সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন অভিমেন্যু এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিত সিংয়ের মধ্যে থেকে একজন বসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে।