বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। জাতীয় গ্রীড বিপর্যয়ের মূল কারণ উদঘাটনের জন্য একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এই বিপর্যয়ের কারণে শনিবার সারাদেশ কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।’
আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে এবং গ্রীড বিপর্যয়ের মূল কারণ জানতে তিন দিন অপেক্ষা করার জন্য আমি জনগণকে অনুরোধ করছি।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি বিদ্যুৎ গ্রীড বিপর্যয়ের সুনির্দিষ্ট কারণ উদঘাটনের জন্য কাজ করছে ।’
হামিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় পরিস্থিতি মনিটরিং করেছেন এবং ওই পরিস্থিতির সময় তার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন প্রায় ৪৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে এবং বর্তমানে কোন লোডশেডিং নেই।’
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তোফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, পিডিবি চেয়ারম্যান আবদুহু রুহিল্লাহ ও ডিপিডিসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমান বন্দর ও হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি সব স্থাপনায় এ ধরনের পরিস্থিতির সময় তাদের নির্বিঘ সেবা অব্যাহত রাখতে বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।’
গ্রীড বিপর্যয়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, ‘জাতীয় গ্রীড বিপর্যয়ের সময় বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কে রিলে সিস্টেম ঠিকমত কাজ না করায় দেশের সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র একের পর এক বন্ধ হয়ে যায়।’
বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘শনিবার দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রীডে প্রধানত: কারিগরি ত্রুটির কারণে দেশের সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র একে এসে বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎখাতে এটা এক নতুন অভিজ্ঞতা। ভবিষ্যতে এ ধরনের যে কোন ঘটনার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এটা আমাদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ খবর সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারে বিদ্যুৎ বিভাগকে সহায়তা করেছে।