প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দর দান নারী, এই নারী তার আকর্ষণীয় ও মোহনীয় চোখের মায়ায় পুরুষ সমাজের আহার-নিদ্রা কেড়ে নিলেও সেই সুন্দর চোখই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে সৌদি আরবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, চলতি সপ্তাহ থেকে কার্যকর হওয়া এ আইন মেনে সৌদি আরবের নারীদের মোহনীয় ও আকর্ষণীয় চোখ ঢেকে রাখতে হচ্ছে। অর্থাৎ যে নারীরই চোখ অবর্ণনীয় সুন্দর সেই নারীকেই পুরো চেহারা ঢেকে রাখতে হচ্ছে।
কিন্তু কেন এই আইন? সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নারীর আকর্ষণীয়-মোহনীয় চোখ পুরুষদের বিপথগামী করছে, এর প্রভাব পড়ছে সমাজে। সামাজিক অবক্ষয় ঠেকাতেই নতুন এ আইন প্রণয়ন।
আইনটির প্রস্তাবক সৌদি অ্যারাবিয়ান কমিটি ফর দ্য প্রোমোশন অব ভার্চু অ্যান্ড দ্য প্রেভেনশন অব ভাইস’র মুখপাত্র শেখ মোতলাব আল নাবেত যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মেট্রোকে বলেন, আগে মুখ ঢেকে চোখ খোলা রাখা গেলেও এখন সুন্দর চোখের নারীদের পুরো মুখই ঢেকে রাখতে হবে।
আর প্রত্যেক ‘মুসলমানেরই’ এই আইনকে সমর্থন জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের ছেলে প্রিন্স নাইফ।
প্রশ্ন উঠেছে, কোন জোড়া চোখ আকর্ষণীয়, আর কোন জোড়া চোখ আকর্ষণীয় নয় সেটা কীভাবে ঠিক হবে? আইনে প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল, চোখে মেকআপ করলে বা কাজল মাখলে সেটা আকর্ষণীয় চোখ হিসেবে ধরা হবে।
কিন্তু এটাওতো সমাধান নয়, কারণ অনেক নারীর চোখ মেকআপ বা কাজল মাখা ছাড়াও বেশ মোহনীয় লাগে! তাহলে কী হবে? সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তবে আইন কার্যকর হয়ে গেছে।
অর্থাৎ কোনো নারীর চোখ আকর্ষণীয় বা মোহনীয় হলেই তাকে পুরো মুখ ঢেকে বেরোতে হবে।
এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কিন্তু এ ধরনের প্রতিবাদ কখনোই আইন বাতিলে বাধ্য করতে পারেনি সৌদির সরকারগুলোকে। সূত্রঃ বাংলানিউজ।