মন্ত্রিসভা থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ইসলামের অবমাননা ও সংবিধান লঙ্ঘন এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
হজ ও তাবলিগ সম্পর্কে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এরশাদ এ দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেছেন, ইসলামের চার স্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ হজ। তা নিয়ে লতিফ সিদ্দিকী যে জঘন্য ও কুৎসিত মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা প্রকাশেরও ভাষা আমার জানা নেই। হজের ব্যাপারে আজ পর্যন্ত অন্য কোনো ধর্মাবলম্বীরাও এ ধরনের কুৎসিত মন্তব্য করেননি। ৯০ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানার মতো লতিফ সিদ্দিকী যে জঘন্য কাজ করেছেন তা এদেশের জনগণ কখনো এবং কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলেও মন্তব্য করেছেন এরশাদ।
তিনি শুধু বাংলাদেশের মানুষের মনেই নয়, বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসের ওপরে চরম আঘাত হেনেছেন। এর জন্য শুধু ক্ষমা চাইলেই হবে না, তার জন্য দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করতে হবে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, যেখানে দেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এবং সংবিধান অনুসারে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না- সেখানে এই লতিফ সিদ্দিকী ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে সরাসরি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তাই সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে তাকে অভিযুক্ত করতে হবে।
বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারী, তিনি বহুবার হজ পালন করেছেন, সেখানে লতিফ সিদ্দিকী তার এই উক্তির মাধ্যমে প্রধানন্ত্রীর ধর্ম বিশ্বাসের ওপরেও চরম আঘাত হেনেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মাঠের বরাদ্দ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই দিয়ে গেছেন। তাবলিগের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে শ্রদ্ধা ছিল, এ ব্যাপারে তার পৃষ্ঠপোষকতাই তার সুস্পষ্ট প্রমাণ। সেই তাবলিগ সম্পর্কেও লতিফ সিদ্দিকী কটূক্তি করেছেন। এসব বক্তব্য দিয়ে লতীফ সিদ্দিকী ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করার দাবি জানান এরশাদ।