ঘরের মাঠে পাঁচ বছর পর টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ১৬২ রানের বড় পরাজয় উপহার দিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যার, তার নাম অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কেউ এমন দুর্দান্ত প্রতাপে ফিরতে পারে সেটা সাকিবকে না দেখলে বিশ্বাস করা অনেকটাই কঠিন।
ঢাকা টেস্টে ৬ উইকেটের পর খুলনা টেস্টে সেঞ্চুরির পর দুই ইনিংস মিলে ১০ উইকেট। এই অনন্য কীর্তি তাকে নিয়ে গেছে দুই গ্রেট ইয়ান বোথাম এবং ইমরান খানের পাশে।
সাকিব ক্রিকেট দুনিয়ায় মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড়, যিনি এই নজির গড়লেন। তাছাড়া কিছুদিন আগে হারানো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের খেতাবও ফিরে পেয়েছেন তিনি। আর সে কারণেই আন্তর্জতিক গণমাধ্যম বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের চেয়েও বড় করে দেখিয়েছে সাকিবের কীর্তিকে।
ভারতের বিখ্যাত ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ বাংলাদেশের দুটি খবর ছেপেছে। দুটিতেই তারা শিরোনামে এনেছে সাকিবকে। যার প্রথমটি এরকম, ‘অল রাউন্ডার সাকিব জয়েন্স অল টাইম গ্রেটস’। সংবাদটিতে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান এবং ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার ইয়ান বোথামের সঙ্গে সাকিবের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
তাদের অন্য সংবাদের শিরোনাম ছিল, ‘সাকিব ক্লেইম রেয়ার অল রাউন্ড ফিয়েট ইন বাংলাদেশ উইন।’ এখানেও বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের পাশাপাশি বড় করে দেখানো হয়েছে সাকিবের অর্জন।
কলকাতার সবচেয়ে বড় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার ‘সাকিবের রেকর্ড’ শিরোনামে মূলত ইমরান-বোথামের পাশে সাকিবের বসার কথাই লিখেছে।
কলকাতার আরেক বাংলা দৈনিক ‘আজকাল’ শিরোনাম করেছে ‘বোথাম-ইমরানকে ছুঁলেন সাকিব।’
পাকিস্তানের বিখ্যাত ‘ডন’ পত্রিকায় শিরোনাম করা হয়েছে, ‘সাকিব পুটস বাংলাদেশ অন টপ’।
বিবিসি শিরোনাম দিয়েছে, ‘সাকিব জয়েন্স হানড্রেড অ্যান্ড টেন উইকেট লিস্ট’।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড লিখেছে, ‘বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান জয়েন্স ক্রিকেট গ্রেটস’।
ডেইলি টাইমসের শিরোনাম- ‘সাকিব লিডস বাংলাদেশ টু টেস্ট সিরিজ উইন ওভার জিম্বাবুয়ে।’
গালফ নিউজ লিখেছে- ‘সাকিব আল হাসান অ্যাচিভস রেয়ার ফিয়েট ইন বাংলাদেশ ভিক্টোরি।’