কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবালের বক্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সোহাগপুর গ্রামের গণহত্যায় কামারুজ্জামান জড়িত নয় বলে তার ছেলে হাসান ইকবাল দাবি করলে তার প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “কামারুজ্জামানের ছেলে যে কথাগুলো এখানে বলেছেন, এসব বক্তব্য তার আইনজীবীরা পুঙ্খানুপুঙ্ক্ষভাবে আদালতে উপস্থাপন করেছেন। এসব বক্তব্য বিবেচনা করেই আদালত তার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “সর্বোচ্চ আদালত সম্পর্কে একজন যুদ্ধাপরাধীর ছেলের দম্ভোক্তি এবং শালীনতাবোধ বর্জিত বক্তব্য দুঃখজনক।”
সোমবার কামারুজ্জামানের পরিবারের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিউত্তরে সাংবাদিকদের অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, “অনেক সময় মানুষ পাগলের প্রলাপ বকে। সব পাগলকে তো আর আদালতের সামনে নিয়ে যাওয়া যায় না। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের ব্যাপারে ক্ষোভ থাকলে তার প্রকাশ এই ধরনের মাধ্যমে হওয়া উচিত না।”
তিনি বলেন, “বিশেষ করে ‘ন্যায়ভ্রষ্ট’ কথাটা তাকে কে শিখিয়ে দিয়েছে আমি জানি না। এটার সম্পূর্ণ অর্থ জেনেই বলা উচিত। অবশ্যই আদালতের প্রতি এ ধরনের বক্তব্য অবমাননাকর।”
মৃত্যু পরোয়ানা হলে সরকারের সিদ্ধান্তে দণ্ড কার্যকর হবে বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, “পরোয়ানা হলে দণ্ড কার্যকর হবে ২০(৩) ধারা মতে। সরকারের নির্দেশ অনুসারে। কাজেই সরকার যেভাবে সময় প্রদান করবে সেইভাবেই কার্যকর হবে।
তিনি আরো বলেন, “রিভিউ যদি কেউ করেও সেই রিভিউ-এর জন্য দণ্ড স্থগিত থাকবে না। আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া কারা কর্তৃপক্ষ চলমান রাখবে।”
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, “আমিতো আগাগোড়া যে কথা বলেছি, কাদের মোল্লার ব্যাপারেও তাই বলেছিলাম। আমার বক্তব্য থেকে কোনো বিচ্যুতি হয়নি। টেলিভিশন টকে আমাদের বক্তব্যগুলোকে কেন ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমি সব সময় বলেছি, রিভিউ চলবে না। সংবিধান পড়ে আমি যা বুঝেছি, এটা আমার বক্তব্য। আপিল বিভাগ যদি কাদের মোল্লার রিভিউ-এর রায়ে বলে দেয় যে রিভিউ চলবে। তাহলে তখন বলা যাবে, আমার বক্তব্য সঠিক ছিল না। কিন্তু যে পর্যন্ত রায় না প্রকাশিত হবে, সে পর্যন্ত আমি যেটা বলেছি, সেটা সংবিধানের ওপর নির্ভর করেই বলেছি।”
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমি বলেছি, সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েও এটা কার্যকর করা যায়। এর আগেও আমার মতে আদালত থেকে সংক্ষিপ্ত আদেশ গেছে। যদিও সেটা সাঈদীর ব্যাপারে।”
তিনি বলেন, “সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড থেকে যখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়ে গেল, সেটা ট্রাইব্যুনালকে সংক্ষিপ্ত আদেশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কাজেই সংক্ষিপ্ত আদেশে করা যাবে, ট্রাইব্যুনালকে জানালে ট্রাইব্যুনাল ডেথ ওয়ারেন্ট আদেশ করতে পারে।”