জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে ধরা পড়ল বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম হোতা আমজাদ শেখ ওরফে কাজল। সোমবার দুপুরে বীরভূমের কীর্ণাহারে বাড়ির খুব কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ।
বিস্ফোরণের পরই পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়েছিল সে। প্রথমে নয়াদিল্লি এবং পরে উত্তরপ্রদেশের একটি বস্তিতে এক পুলিশকর্মীর কাছে আশ্রয় নেয় আমজাদ। সেখানে কিছু দিন থাকার পর পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসে সে।
ত্রিশ বছর বয়সী আমজাদ ওরফে কাজল আদতে বীরভূমের কীর্ণাহারের বাসিন্দা। তার বাবা কীর্ণাহারে কাজি মার্কেটের এক ব্যবসায়ী। এনআইএ-র হাতে বর্ধমানকাণ্ডের তদন্তভার যেতেই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে আমজাদের ভূমিকা।
খাগড়াগড় কাণ্ডের পরেই গা ঢাকা দেয় আমজাদ। তাকে ধরতে তার কলকাতার আবাস্থলে হানা দেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। সেখান থেকে উদ্ধার করা কাগজপত্র থেকেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে তার জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা।
কলকাতা পুলিশের এসটিএফের কাছ থেকে প্রাথমিক বেশ কিছু তথ্য পাওয়ার পরেই তাকে ট্র্যাক করতে শুরু করে এনআইএ। অবশেষে তদন্তকারীদের জালে আমজাদ শেখ ওরফে কাজল।
আমজাদ কাজ করত কলকাতার একটি চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থায়। গোয়েন্দাদের দাবি, বিস্ফোরক তৈরিতে সহায়ক প্রচুর রাসায়নিক কয়েক জন পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে কিনে খাগড়াগড়ের কুশীলবদের কাছে সরবরাহ করেছিল এই আমজাদ। আমজাদ জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
আমজাদ শেখকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আগামিকাল আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে এনআইএ।
তাই প্রথমে তার মাথার দাম পাঁচ লাখ ধরা হলেও সম্প্রতি পুরস্কার মূল্য বাড়িয়ে দশ লাখ টাকা করা হয়।