মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন রডস বৃহস্পতিবার এ আহবান জানান।সেইসঙ্গে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ পরিচয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে তাও বাদ দেওয়ার আহবান জানান তিনি। আসিয়ান সম্মেলন উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বেন রডস এখন মিয়ানমারে রয়েছেন।
রডস বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের উদ্যোগে সার্বজনীন অধিকার লঙ্ঘিত হবে এবং নেইপিদো যে গণতান্ত্রিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তা সমালোচনার মুখে পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি নতুন পরিকল্পনা দেখতে চাই যেখানে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব পাবে এবং তাদের নিজস্ব পরিচিতি থাকবে।’
এর আগে বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের নেওয়া উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গার প্রায় বেশিরভাগই রাষ্ট্রহীনভাবে বসবাস করছে। বৌদ্ধ অধ্যুষিত এ দেশটিতে তারা অস্পৃশের মতো জীবনযাপন করছে। ২০১২ সালের ভয়াবহ সহিংসতায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি দেশটির রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ পরিচয় দিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কারণ দেশটির অভিযোগ, রোহিঙ্গারা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ থেকে সেখানে গেছে।
এর আগেও মিয়ানমার সরকারের এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু এবারের প্রকল্প অনুযায়ী যে সব রোহিঙ্গা ওই প্রস্তাব মেনে না নিবে এবং মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে যথাযথ দলিল উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হবে তাদের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করতে হবে। সূত্র: রয়টার্স।