ঢাকা : মন্ত্রিসভা মালয়েশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত ‘মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং অন দ্যা ইমপ্লয়মেন্ট অব ওয়ার্কার্স’ সংশোধনীর জন্য প্রোটোকল স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এ সংশোধনী চুক্তি হলে মালয়েশিয়ার প্রদেশেও বাংলাদেশি শ্রমকিরা যেতে পারবে কাজ করতে।সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় জি টু জি পর্যায়ে আমরা কর্মী পাঠাচ্ছি। এটি হলো আরেকটি সংশোধনী প্রস্তাব। আগের চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় মূল ভূখণ্ডে আমরা কর্মী পাঠাতে পারতাম। বর্তমান চুক্তি হলে মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশেও আমাদের কর্মী যেতে পারবে কাজ করতে।’
মন্ত্রিসভা মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ভিসা সংক্রান্ত একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে। এই চুক্তিতে দুটি ক্যাটাগরিতে ভিসা লাগবে না। এ দুটি ক্যাটাগরি হলো অফিসিয়াল ও কূটনৈতিক পাসপোর্ট। এর মেয়াদ হবে ৯০ দিন। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে কোনো কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল মালয়েশিয়ায় গেলে কোনো ভিসা লাগবে না। পাসপোর্ট হলেই চলবে। আবার মালয়েশিয়ার কোনো অফিসিয়াল এলেও এদেশের কোনো ভিসা লাগবে না।
কূটনৈতিকদের ক্ষেত্রে তাদের স্পাউস ২১ বছরের কম বয়সী সন্তান এ সুবিধা পাবে। এ ধরনের চুক্তি ১২টি দেশের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের।
বৈঠকে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড আইন ২০১৪ এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এ আইনটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ আইনে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ডকে একটি বিধিবদ্ধ স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা করার প্রস্তাব করেছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন করেনি। মন্ত্রিসভা বলেছে, এটা সংযুক্ত অধিদপ্তর হবে।
এছাড়া সার্ক দেশসমূহের সঙ্গে সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত শীর্ষক চুক্তির খসড়ার অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এই চুক্তি সম্পর্কে সচিব বলেন, ‘সার্ক দেশে কার্গো ভেহিকল পেসেঞ্জার ভেহিকল এবং এর মধ্যে রেগুলার নন রেগুলার এই তিন ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত যানবাহন সার্ক দেশে চলাচল করতে পারবে। তবে এ যানবাহন নিয়ে যে দেশে যাবে সেদেশের নিয়মকানুন মানতে হবে। যে কোনো দেশ এ চুক্তি রিভিউ করতে পারবে। আর যারা গাড়ি চালাবেন তাদের মাল্টিপল ভিসা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।’
এদিকে মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভূটানের বাণিজ্য সংক্রান্ত শীর্ষক চুক্তি এবং এ সংক্রান্ত প্রোটোকল নবায়নের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এ চুক্তি হলে ভূটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়বে।