গাজীপুর: গেলো বছরের ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসির বর্ষপূর্তির ঠিক এক দিন আগে ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুর জেলায় জনসভা করতে না পেরে পুরনো ব্যর্থতার চিত্রই যেন আঁকলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মার্চ ফর ডেমোক্রেসির দিন সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে বাসা থেকেই বের হতে পারেননি তিনি। আর ছাত্রলীগের হার্ডলাইন অবস্থানে শেষ পর্যন্ত গাজীপুরে সমাবেশ করতে পারলেন না বিএনপির চেয়ারপারসন।
স্থানীয় বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, জনসভাস্থল ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ এবং এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও, টঙ্গীর টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) মাঠ, শফিউদ্দীন সরকার একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ ও ভোগড়া চৌরাস্তায় জনসভার চেষ্টা করতে পারতেন খালেদা জিয়া।
তাদের মতে, জনসভা করতে না পারলেও, ঢাকা থেকে গাজীপুরের উদ্দেশে খালেদা জিয়া রওনা দিলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়তো, তেমনি সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলা যেত।
কিন্তু সব চেয়ে সহজ কর্মসূচি ‘হরতালের’ ডাক দিয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীকে শীতনিদ্রার ব্যবস্থা করে দিয়ে আরেকটি পরাজয় মেনে নিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের নেতা খালেদা জিয়া।
বিএনপির এক শীর্ষ নেতার বরাতে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, সাবেক এমপি হাসান উদ্দীন সরকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবীর খান, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, টঙ্গী থানা বিএনপির সভাপতি শাহান শাহ আলম, গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শালাহ উদ্দীন সরকার, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাজাহান ফকিরসহ গাজীপুর জেলা, উপজেলা, পৌরসভাসহ বিএনপির বিভিন্ন আঞ্চলিক ইউনিটের সিনয়র নেতারা ঢাকায় অবস্থান করছেন।
তারা বারবার তৃণমূল নেতাদের আশ্বস্ত করছেন, ‘আমরা ম্যাডামের গুলশান কার্যালয়ে আছি, তোমরা হরতাল চালিয়ে যাও।’
এ ব্যাপারে জানতে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অসি) ওমর ফারুক জানান, তার এলাকাতে হরতালের পক্ষে কোনো মিছিল মিটিং হয়নি। তবে হরতালের বিপক্ষে মিছিল হয়েছে।