বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কাছে সরাসরি খালেদাকে টেলিফোন না করার বিষয়টি পরিষ্কার করলেও বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা বলছেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের সভাপতির সঙ্গে তার দলনেত্রী খালেদা জিয়ার টেলিফোন আলাপ হয়েছিল।
খালেদার সঙ্গে কথা হয়নি বলে অমিত শাহর যে বক্তব্য বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এসেছে তা ‘আসল অমিত শাহর’ কথা নয় বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ফুড কোর্ট রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের ভুয়া বিবৃতি প্রচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দুই নেতাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার খবর জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন খোকা।
সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অমিত শাহ খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন। দেশের যে দুটো গণমাধ্যমে ( ৭১ টিভি, চ্যানেল ২৪) অমিত শাহর যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে, সেটা আসল অমিত শাহর কথা নয়।
“এই ঘটনা যদি মিথ্যা হতো তাহলে বিজেপির পক্ষ থেকেই কোন বিবৃতি প্রদান করা হত।”
গত ৮ জানুয়ারি রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, আগের রাতে খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে তার খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ।
এর সত্যতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা প্রশ্ন তোলার পর বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের কাছে খালেদাকে টেলিফোন করার বিষয়টি উড়িয়ে দেন অমিত শাহ।
“দিজ ইস টোটালি রিউমার,” চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে বলেন তিনি। একাত্তর টেলিভিশনকে তিনি বলেন, “দিস ইজ এ ফেক নিউজ।”
আর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, “আরে ভাই, ম্যায়নে তো উনহে কল নেহি কিয়া, ইয়ে সব বাকোয়াজ খবর কিউ ছাপতে হ্যায়।”
চিকিৎসার প্রয়োজনে বর্তমানে বিদেশে থাকতে হওয়ায় দেশে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে না পারায় ‘প্রতি মুহূর্তে বেদনায় দগ্ধ’ হওয়ার কথা জানান বিএনপি নেতা খোকা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি পালিয়ে থাকিনি। নিউইয়র্কে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছি।”
বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে মঙ্গলবারও কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঢাকায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা হচ্ছে এবং খালেদা জিয়া আমাকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন।”
বিএনপি- জামায়াত জোটের বর্তমান জ্বালাও পোড়াও অবরোধ প্রসঙ্গে খোকা বলেন “খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন না। তিনি মানুষের গণতান্ত্রিক ও ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করছেন।”