নাশকতা না থামালে সরকার আরো কঠোর হবে বলে বিএনপি-জামায়াতকে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রংপুরে বাসে আগুন দিয়ে চারজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা তুলে ধরে বুধবার রাজধানীর ওসামানী মিলনায়তনের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর নিন্দা জানানোর ভাষা তার জানা নেই।
“বরং আমি এটাই বলব, এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। আর তা না হলে আমাদেরকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বিএনপির টানা অবরোধের মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে রংপুরের মিঠাপুকুরে বাসে আগুন দেওয়া হলে এক শিশুসহ চারজন জীবন্ত দগ্ধ হন। আগুনে পোড়া আরো কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা তো রাজনীতি না। এটা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড, এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এদের বিরুদ্ধে সারাদেশকে, সারাদেশের মানুষকে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
প্রাথমকি শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, গত এক বছরে সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে কাজ করেছে তাতে বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদার আসন পেয়েছে; উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার পহেলা জানুয়ারিতে স্কুলের ছেলেমেয়েদর বই দিয়েছে, যাতে তাদের একটি দিনও নষ্ট না হয়।
অন্যদিকে ‘বিএনপি-জামায়াত জোট’ নতুন বছরের শুরু থেকেই হরতাল-অবরোধ করে আগুন দিয়ে ‘মানুষ মারছে’ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী।
“মানুষকে পুড়িয়ে মারা, এটা কি ধরনের আন্দোলন- এটা আমি জানি না। আমরা রাজনীতি করি তো মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের কথা চিন্তা করে মানুষকেই যদি মারা হয়, মানুষকেই যদি এভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হয়, একেকটা পরিবারকে যদি ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, তাহলে কার জন্য রাজনীতি? কিসের জন্য রাজনীতি?”
নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াত নির্বাচন করতে পারেনি বলেই বিএনপি গতবছর ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করেছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে কেউ যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তার খেসারত কি জাতিকে দিতে হবে? তার খেসারত কি মানুষকে দিতে হবে? নিজে নির্বাচনে আসেননি। আর এখন? মানুষ পুড়িয়ে মারা।”
প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।