প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষ পুড়িয়ে হত্যাসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড বন্ধ করতে বিএনপি’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন অন্যথায় নিজেদের আগুনে পুড়ে তাদেরই মরতে হবে।
তিনি বলেন, যারা আগুন নিয়ে খেলতে চায়, তাদেরকেই সেই আগুনে মরতে হয়। এটাই বাস্তবতা এবং এ ধরনের ঘটনাই ঘটেছে। ১৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়া এড়াতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের এক সংবর্ধনায় বক্তৃতায় একথা বলেন। জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল এশিয়ান গেমসসহ সম্প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সাফল্য অর্জন করায় এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল রৌপ্য পদক লাভ করেছে। খবর বাসস
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকরাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো এখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষা, খেলাধুলা ও দেশের অগ্রগতিতে বাধা প্রদান করে জনগণের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ মানুষ আর দিনমজুররা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আমি আশা করি, শান্তি ফিরে আসবে এবং তাদের মধ্যে চেতনা জাগ্রত হবে এবং আগুন নিয়ে খেলা তারা বন্ধ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর গত এক বছর সুন্দরভাবে দেশ পরিচালিত হয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে এবং জনগণ শান্তিতে বসবাস করছিল। কিন্তু এটি কারো কারো কাছে ভাল লাগছিল না। তারা হঠাৎ করে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড শুরু করে এবং আন্দোলনের নামে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এখন সাধারণ মানুষ ও দিন মজুরদের পেটে লাথি মেরে এ ধরণের অপরাধ করছে। এটি কারো পক্ষেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এ ধরণের অপরাধ চলতে দেয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ শান্তি ও উন্নত জীবন চায়। এটি একমাত্র আওয়ামী লীগই নিশ্চিত করতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ইতোমধ্যেই অনেক সংকট সামাল দিয়েছে। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমরা দেশে শান্তি এবং জনগণের জীবনে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে পারবো।
খেলাধুলার উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রমান্বয়ে দেশের সকল বিভাগে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) শাখা প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি পর্যটনসহ কক্সবাজারে এক লাখ দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বড় স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। এখানে সকল ধরণের ক্রীড়া আয়োজনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরুষ খেলোয়াড়দের পাশাপাশি মহিলা খেলোয়াড়দেরও যথাযথ উৎসাহ প্রদান করা হবে। এ উৎসাহ শুধু ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, সব খেলাধুলাতেই উৎসাহ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, মহিলা খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয়া হলে তারা ভালো করতে পারবে। এটা তারা প্রমাণ করেছে।
পরে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক খেলোয়াড়কে এক লাখ টাকার চেক এবং একটি উপহার প্রদান করেন। ১৫ সদস্যের এই মহিলা ক্রিকেট দলের নেতৃত্বে ছিলেন সালমা খাতুন।