সাধারণত দলিলের বিষয়বস্তু ও শ্রেণীভেদে স্ট্যাম্পের মূল্যমান নির্ধারিত হয়ে থাকে।
২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী, গত ১ জুলাই থেকে দলিল সম্পাদনের জন্য স্ট্যাম্পের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুসরনে দলিল সম্পাদন না করা হলে সে দলিল আইনগত ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী:
. রাজউকের প্লট এবং ট্যাক্সের দলিলের জন্য মূল্যের ওপর ২ শতাংশ টাকার সমমানের স্ট্যাম্প;
. ট্রাস্ট ডিড-ক্যাপিটাল দলিলের জন্য মূল্যের ওপর ২ শতাংশ টাকার সমমানের স্ট্যাম্প;
. অছিয়তনামার কপির জন্য ৩০ টাকার স্ট্যাম্প;
. নকলের কবলা দলিল, বন্ড, বণ্টননামা, সার্টিফাইড কপির দলিলের জন্য ৫০ টাকার স্ট্যাম্প;
. অনুলিপি, খাস-মোক্তারনামা দলিলের জন্য ১০০ টাকার স্ট্যাম্প;
. হলফনামা, বায়নার হলফনামা, হেবার ঘোষণাপত্র, নাদাবি পত্র, বাতিলকরণ দলিলের জন্য ২০০ টাকার স্ট্যাম্প;
. চুক্তিনামা দলিল, অঙ্গীকারনামা, বায়নানামার দলিল, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাগ্রিমেন্ট, রিডেম্পশন, সোলেনামা বা আপসনামার দলিলের জন্য ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প;
. আমমোক্তারনামা দলিল এবং সাফকবলা দলিলের জন্য ৪০০ টাকার স্ট্যাম্প;
. তালাকের হলফনামার দলিলের জন্য ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প;
. পার্টনারশিপ বা অংশীদারি দলিলের জন্য ২০০০ টাকার স্ট্যাম্প;
. মর্টগেজ বা বন্ধকের দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে
ক. এক টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০০০ টাকা
খ. ২০ লাখ এক টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকা এবং
গ. এক কোটি এক টাকার ওপরের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার এবং প্রতি লাখের জন্য ২ শতাংশ হারে মোট টাকার মূল্যমানের স্ট্যাম্পে সম্পাদন করতে হবে।
সুত্রঃ ইন্টারনেট