হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাতছড়ি উদ্যানে আবারও অভিযান চালিয়ে মেশিনগানসহ বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব।
গত পাঁচ মাসে এ নিয়ে চার দফা র্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মিলল ওই এলাকায়।
র্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন মোছাব্বির হোসেন জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সাতছড়ি উদ্যানের বিভিন্ন পাহাড়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান শুরু করে র্যাব। উদ্যানের একটি পাহাড়ি গর্তের মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি মেশিনগানে ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি র্যাবের এ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে অভিযান চলছিল বলে মোছাব্বির জানান। এর আগে গত ৩ জুন সাতছড়ির ত্রিপুরা পল্লী ও আশপাশের বিভিন্ন টিলায় অভিযান চালিয়ে সাতটি বাংকারের সন্ধান পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
১৯ জুন পর্যন্ত সংরক্ষিত বনাঞ্চলে টিলার নিচের গর্ত ও বাংকার থেকে চারটি ৭ দশমিক ৬২ মিলিমিটার বোরের মেশিন গান, মেশিন গানের পাঁচটি অতিরিক্ত ব্যারেল, ২২২টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৪৮টি রকেটের চার্জ, ৭ দশমিক ৬২- ৩৯ মিলিমিটার বোরের ১১ হাজার ৫৮০ বুলেট, ১২ দশমিক ৭ মিলিমিটার বোরের ২৮৪টি মেশিন গানের বুলেট, ৭ দশমিক ৬২-৫৪ মিলিমিটার বোরের ৪৪০টি বুলেট, ১৯টি মিশন গানের ড্রাম এবং যন্ত্রাংশ উদ্ধার করার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২ সেপ্টেম্বর সেখানে অভিযান চালিয়ে আবারো অস্ত্র পাওয়ার কথা বলে র্যাব। ওইদিন র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে নয়টি এসএমজি, একটি এমএমজি, একটি বেটাগান, একটি ৭ দশমিক ৬২ মিলিমিটার বোরের অটোরাইফেল, ছয়টি এসএলআর, দুটি এলএমজি, একটি স্নাইপার টেলিস্কোপিক সাইট ও ২৪০০ গোলাবারুদ রয়েছে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফায় সেখানে গোলাবারুদ পাওয়া যায়। সেই দফায় ত্রিপুরা পল্লীর অজিত দেব বর্মার বাড়ির পেছনে একটি গোয়াল ঘরের নিচে থাকা বাংকার খুঁড়ে ১৫ বস্তা গোলাবারুদ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব। এর মধ্যে ছিল ১১২টি রকেট ও ৪৮টি রকেট চার্জার।