সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের ‘ছাড়’ না দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ বলেছেন, ‘যারা রাজনীতির নামে নাশকতা চালায়, মানুষ পুড়িয়ে মারে- রাষ্ট্রে তাদের প্রয়োজন নেই।’
রংপুরের মিঠাপুকুরে বাসে আগুন দিয়ে পাঁচ যাত্রীকে হত্যার ঘটনস্থল ঘুরে দেখে শুক্রবার মিঠাপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে র্যাব মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
চলমান সহিংসতাকারীদের উদ্দেশ করে মহাপরিচালক বলেন, “গত দুই সপ্তাহে মিঠাপুকুরের পাঁচজনসহ সারাদেশে ২৪ জনকে খুন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের মতো একটি গোষ্ঠী তাদের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধার করার জন্য দেশ, সমাজ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা দেশের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করেছে। তারা উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। দে আর টেরোরিস্ট।”
র্যাব প্রধান দৃঢ়তার সাথে বলেন, “২০১৩ সালে তাদের রুখে দিয়েছি। এবারও তাদের অন্যায় যুদ্ধ রুখে দেব। আমরা কাউকে ছাড় দেব না।”
তিনি বলেন, “জাতিসংঘ, পৃথিবীর সব দেশের সন্ত্রাসের সংজ্ঞা অনুযায়ী যারা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তারা সন্ত্রাসী, খুনি। এমন খুনি সন্ত্রাসীদের আমাদের দেশে সমাজে, রাষ্ট্রে দরকার নেই। তাদেরকে আমরা দেখতে চাই না।”
অবরোধ হরতালের নেতিবাচক দিক উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, “১৯৭১ সালে আমাদের আয় ছিল ১৪৫ ডলার, ১৯৯৬ সালে ছিল ৮০০ ডলার, এখন ১২০০ ডলার। জাতীয় আয়কে ধ্বংস করার জন্যই এই হরতাল অবরোধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।”
মঙ্গলবার গভীর রাতে মিঠাপুকুরের জায়গীরপাড়ায় একটি বাসে আগুন দেওয়া হলে পাঁচ যাত্রী জীবন্ত দগ্ধ হন।
ওই ঘটনায় নিহত রহিম বাদশার স্ত্রী নিলুফা বেগমের হাতে ৫০ হাজার টাকা এবং দগ্ধ আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী হাসি বেগমকে ১০ হাজার টাকা অনুদানের চেক তুলে দেন পুলিশ মহাপরিদর্ষক ও র্যাব মহাপরিচালক।
রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহম্মদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক শহীদুল হক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক হুমায়ুন কবীর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু সহ পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ।