ঢাকা: দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
আজ শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন প্রধান বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
এর আগে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধান বিচারপতি মো. মোজ্জামেল হোসেনের অনুপস্থিতিতে গত ১২ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজ্জামেল হোসেনের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৫ জানুয়ারি।
এদিকে গত ১২ জানুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) কে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় রাষ্ট্রপতি। ওইদিন আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এসকে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
নতুন প্রধান বিচারপতি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ডঃ শিরিন শারমিন চৌধুরী, সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, সাবেক প্রধান বিচারপতিগণ, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ, তিন বাহিনী প্রধানগণ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
শপথ অনুষ্ঠানের পর নতুন প্রধান বিচারপতি যান সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে তিনি শহীদের স্মৃতির উদ্দেশে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রয়াত ললিত মোহন সিনহা ও ধনবতী সিনহার পুত্র এস কে সিনহা ১৯৫১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাণীরবাজার গ্রাম জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালের ২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর তার চাকরি স্থায়ী হয়।
বিচারপতি সিনহা ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই আপীল বিভাগের উন্নীত হন। তিনি ১৯৭৪ সালে সিলেট জেলা বার এসোসিয়েশনে একজন আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে সেখানে দু’জন বিশিষ্ট আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে কাজ করেন। এরপর তিনি ১৯৭৮ ও ১৯৯০ সালে যথাক্রমে হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
এস কে সিনহা ১৯৯৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত উচ্চতর আদালতে প্রখ্যাত আইনজীবী এস আর পালের তত্ত্বাবধানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন।