বিরোধী জোটের অবরোধের মধ্যে রাজধানীতে পুলিশের একটি বাসে বোমা হামলা হয়েছে। রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় শনিবার রাতে পুলিশের গাড়িতে পেট্রোল ও হাত বোমা হামলা হয় বলে জানায় পলিশ।
এতে একজন এসআইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই মো. আজাদ (৪২), কনস্টেবল মোরশেদ (৩৫), শিপন (৩০), বদিউর রহমান (২৮) ও মোহাম্মদ শামীম (২৮)। তাদের মধ্যে শামীমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় ইট ও বোমার আঘাত লেগেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। রাতে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া মোরশেদের শরীরের কিছু অংশ পেট্রোল বোমার আগুনে ঝলসে গেছে।
রমনা থানার ডিউটি অফিসার সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, “দিনভর দায়িত্ব পালন শেষে একটি বাসে করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ফিরছিলেন পুলিশ সদস্যরা। শনিবার রাত আটটার সময় বাসটি মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা গাড়িটি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে এবং দুর্বৃত্তদের বোমা ও ইটপাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচজন। পেট্রোল বোমা হামলায় বাসটিতে আগুন লেগে যায়।”
রাত সাড়ে ১০টার দিকে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
এসময় ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতের অবশ্যই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
দুর্বৃত্তদের সন্ধানে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানান রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এসএম শিবলী নোমান।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর মিরপুর টেকনিক্যাল মোড়ে এক যুবককে পিটিয়ে পুলিশে দেয় জনতা।
মিরপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, “গাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আঙ্গুর (২৫) নামে একজনকে জনগণ ধরে ফেলে। সে টাকার বিনিময়ে গাড়িতে আগুন দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”