আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিদ্যুতের দাম পুননির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের(বিইআরসি) সদস্য সেলিম মাহমুদ।তিনি জানান, জানুয়ারি ২০-২৫ তারিখ পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হবে। গণশুনানীর প্রস্তাব অনুযায়ী আমরা ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখের মধ্যে বিদ্যুতের নতুন দাম নির্ধারণ করতে পারব বলে আশা করছি।
এর আগে, রাজধানীর কাওরান বাজারে টিসিবি অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২২ মিনিট থেকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) বিদ্যুতের পাইকারী মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানী শুরু হয়।
বিপিডিবির প্রস্তাবে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। এ প্রস্তাবের বিপক্ষে বিভিন্ন সুধীজন মতপ্রকাশ করেন। পরে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি দুপুর সোয়া ১টায় পাইকারী পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ বাড়ানোর পক্ষে মতপ্রকাশ করে। বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের কমিটি এ মত দেয়।
বিইআরসির চেয়ারম্যান এ আর খানের সভাপতিত্বে কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, মো. মাকসুদুল হক ও রহমান মুরশেদ গণশুনানীতে উপস্থিত রয়েছেন। শুনানীতে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ কনজ্যুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংস্থা ও কোম্পানি, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিয়েছেন।
বিপিডিবির পক্ষে প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) মিজানুর রহমান। প্রস্তাবে তিনি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব তুলে ধরেন।
বুধবার সকাল ১০টায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সঞ্চালন দামের ওপর এবং দুপুর ২টায় ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের (ওজোপাডিকো) খুচরা মূল্য বাড়ানোর ওপর শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিপিডিবির ও দুপুর ২টায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) খুচরা মূল্য বাড়াতে এবং রবিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও দুপুর ২টায় ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) খুচরা মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানী অনুষ্ঠিত হবে।