২২ জানুয়ারি ২০১৫, বৃহস্পতিবারের সংসদ

ভাষণ আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দিকনির্দেশনা : সরকারি দল

রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা ভাষণকে আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দিকনির্দেশনা বলে উল্লেখ করেছেন।

গত ১৯ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।

গত ২০ জানুয়ারি চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের ডা. দীপু মনি তা সমর্থন করেন।

রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ ৩য় দিনে সরকারি দলের ডা. দীপু মনি, মো: ইসরাফিল আলম ও সেলিনা বেগম আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, বর্তমান সরকার আমলে দেশে সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশ আজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। যে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলছে, তখন বিএনপি- জামায়াত দেশব্যাপী জঙ্গীবাদ কায়েম করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা জনগণকে তা প্রতিরোধ করার আহবান জানান।
পাশাপাশি তারা জঙ্গি কার্যক্রম তথা খুনের দায়ে আইনের আওতায় আনার আহবান জানান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ আগামী দিনের বাংলাদেশ কিভাবে চলবে তার একটি দিকনির্দেশনা। শিক্ষা, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প সবক্ষেত্রে উন্নয়নে দেশ এখন বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রুল মডেল।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত আন্দোলনের নামে দেশের অর্থনীতিকে থমকে দিতে চাচ্ছে। তারা যা করছে তা আন্দোলন নয়, আন্দোলনের নামে নাশকতা ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। দেশের মানুষকে জিম্মি করে তারা দাবি আদায় করতে চায়। এটা কোনভাবেই গণতান্ত্রিক ও সংবিধান সম্মত নয়।

যারা দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের সাথে কিসের ভিত্তিতে সংলাপ হবে বলে তিনি বিএনপি’র সাথে সংলাপের বিষয়টি নাকচ করে দেন।
দীপু মনি বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন সংবিধান সম্মত নির্বাচন। কিন্তু খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসেননি। এটা তার রাজনৈতিক ব্যর্থতা। তাকে আগামী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

ইসরাফিল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ বাংলাদেশের উন্নয়নের অমরকাব্য। উন্নয়নের এই বিবরণ তুলে ধরার জন্য তাকে ধন্যবাদ। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ বেরিয়ে এসেছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

স্পিকারের সঙ্গে ইটালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইটালির রাষ্ট্রদূত মারিও পামা বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইটালির রাষ্ট্রদূত মারিও পামা আজ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’র সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাতকালে তারা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা দু’দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

স্পিকার ইটালির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের রীতি পদ্ধতি এবং সংসদ অধিবেশন সম্পর্কে অবহিত করেন।

স্পিকার বলেন, জনগণের চাহিদার উপর গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সংসদ বিভিন্ন আইন প্রণয়নের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

এ সময় ইটালির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপিকে অভিনন্দন জানান।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রশংসার দাবী রাখে। তিনি বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে ভবিষ্যতে সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

সংসদে বাংলা ভাষা প্রচলন (সংশোধন) বিল-২০১৪ উত্থাপন

সংসদে আজ বাংলা ভাষা প্রচলন (সংশোধন) বিল-২০১৪ উত্থাপন করা হয়েছে। স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী এ বেসরকারি বিলটি উত্থাপন করেন।

বিলে বিদ্যমান আইনের নতুন ২ক ধারা সন্নিবেশ করার প্রস্তাব করা হয়। নতুন ধারায় বলা হয়, অন্য কোন আইনে বা কোন আদালতের রায়, ডিক্রি বা আদেশ যা কিছুই থাকুক না কেন, এ আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাবে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ও বেসরকারি বিল সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

নেপাল ও ভুটানের সাথে পৃথক বাণিজ্য, ট্রানজিট চুক্তি পরিচালনায় বাংলাদেশের কোন বাধা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীপররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, নেপাল ও ভুটানের পৃথক বাণিজ্য, ট্রানজিট চুক্তি থাকায় স্থলপথে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনায় বাংলাদেশের কোনরূপ বাধা নেই।

তিনি সংসদকে জানান, নেপাল ও ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাক নির্ধারিত পথ অনুসরণ করে ভারতের ভূখণ্ড অতিক্রম করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নির্দিষ্ট স্থল শুল্কবন্দরে প্রবেশ করে এবং সে স্থান থেকে পণ্যদ্রব্যসমূহ বাংলাদেশের যানবাহনে স্থানান্তর করা হয়।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী আজ সংসদে সরকারি দলের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সরাসরি বাংলাদেশের গুদামে পণ্য খালাসের জন্য নেপালি এবং ভারতীয় ট্রাকসমূহকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ২শ’ মিটার পর্যন্ত প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। পণ্য খালাসের পর নেপালি অথবা ভুটানি ট্রাকসমূহ খালি অবস্থায় অথবা বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন করে নেপাল ও ভুটানে প্রত্যাবর্তন করে। প্রত্যাবর্তনের পথে ট্রাকগুলো বাংলাদেশের পণ্যদ্রব্য নেপাল, ভুটান ও ভারতে বহন করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নেপাল ও ভুটানের পৃথক বাণিজ্য এবং ট্রানজিট চুক্তি রয়েছে, কাজেই স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কোন আইনগত বিধি নিষেধ নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন ট্রানজিট চুক্তি না থাকায় বাংলাদেশের বাহনসমূহ ভারতে প্রবেশ করে নেপাল অথবা ভুটানে পণ্য রপ্তানিতে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এই অংশটুকু হচ্ছে এক্ষেত্রে ‘মিসিং লিংক’। এজন্যে বাংলাদেশকে ভারতীয়, নেপালি অথবা ভুটানি ট্রাক ব্যবহার করতে হয়।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে স্বল্পতম সময়ে নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানি সহজতর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশী বাহন (ট্রাক) সমূহকে ভারতের ভূখ- ব্যবহার করতে দেবার জন্য ভারতের নিকট আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

আটকেপড়া পাকিস্তানীদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার জোর পদক্ষেপ নিয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশে আটকেপড়া পাকিস্তানীদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার জোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংরাদেশ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় পাকিস্তানকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবার জন্য অনুরোধ করে এসেছে। এ ব্যাপারে অদ্যাবধি ক’টি বৈঠক হয়েছে।

তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য নুরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, আটকেপড়া পাকিস্তানী নাগরিকদের বিষয়ে সম্প্রতি কোন জনশুমারি না হওয়ায় বর্তমানে তাঁদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভবপর নয়। তবে ১৯৯২ সালে সর্বশেষ পরিচালিত জরিপ হতে তাদের সংখ্যা ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪০ জন ছিল বলে জানা যায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের মে মাসে মাননীয় হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে বাংলাদেশে আটকেপড়া পাকিস্তানী নাগরিকদের সন্তানগণ যারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছে তাদের বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সুযোগ লাভ করেন। এর প্রেক্ষিতে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার জন ঊর্দুভাষী আটকেপড়া পাকিস্তানী নাগরিক হিসেবে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেন বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আটকেপড়া পাকিস্তানীদের পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত বিষয়সমূহের একটি। ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৯ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করে এবং পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করে। ১৯৭৩ সালের দিল্লী চুক্তি এবং ১৯৭৪ সালের ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে আটকেপড়া পাকিস্তানীদের বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর রূপরেখা বর্ণিত আছে। এতে বাংলাদেশে আটকে পড়া সকল পাকিস্তানী নাগরিককে পাকিস্তান ফেরত নেয়ার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ মাত্র তিন শ্রেণীভুক্ত ব্যক্তিদের পাকিস্তানে ফেরত দিতে সম্মত হয়েছিলো, যেখানে ১৯৭৩ সালের চুক্তি অনুসারে শ্রেণী নির্বিশেষে সকল আটকেপড়া পাকিস্তানীকে ফেরত নেয়ার পক্ষে সুস্পষ্ট মত প্রকাশ করা হয়। এ চুক্তিসমূহের আওতায় পাকিস্তান সরকার ৫ লাখ, ৩৯ হাজার ৬৬৯ জন আটকেপড়া পাকিস্তানী নাগরিকদের মধ্যে মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৩৭ জনকে পাকিস্তানে ফেরত নেয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৪১ জনকে পাকিস্তানে ফেরত নেয়।

তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালে পাকিস্তান মন্ত্রিপরিষত ১৯৭৪ সালের চুক্তিতে উল্লেখিত তিনটি শ্রেণীর বাইরে ভূতপূর্ব পূর্ব-পাকিস্তান রেলওয়েতে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যসমূহকে পাকিস্তানে ফেরত নেয়ার স্বপক্ষে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অবশিষ্ট প্রায় ৪ লাখ আটকেপড়া পাকিস্তানীকে ফেরত নেয়ার বিষয়ে পাকিস্তান সরকার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরেন, ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করে যে, সে বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে আটকেপড়া ৩ হাজার পাকিস্তানী পরিবারকে প্রথম দফায় পাকিস্তানে ফেরত নেয়া হবে। যদিও প্রথম দফায় ১৯৯৩ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র ৫০টি পরিবারকে পাকিস্তানে ফেরত নেয়ার পরে পাকিস্তান সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য এ সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান সফর করে বাংলাদেশে আটকেপড়া ২ লাখ ৪০ হাজার জন পাকিস্তানী নাগরিককে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে বাংলাদেশে তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাকিস্তান সফরকালেও এ দাবীটি উত্থাপন করা হয় ও পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ জানানো হয় যাতে সীমিত সংখ্যার হলেও আটকেপড়া পাকিস্তানীকে ফিরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা যায়। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইসলামাবাদ সফরকালে পুনরায় এ বিষয়টি উত্থাপন করেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’-এ বাংলাদেশে আটকেপড়া নাগরিকদের সেদেশে ফিরিয়ে নেয়ার ইস্যুটি জোরালোভাবে উত্থাপিত হয়। আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও, পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আটকেপড়া পাকিস্তানীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি সর্বদাই গুরুত্ব সহকারে উত্থাপন করা হয়েছে।


সংসদ বাংলাদেশ বিভাগের আরো খবর...
সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে  হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ
ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম
গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান
এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ
জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি

২২ জানুয়ারি ২০১৫, বৃহস্পতিবারের সংসদ
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet