বিএনপিসহ বিরোধী জোটের অবরোধের মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় অন্তত ২৯জন দগ্ধ হয়েছেন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কাঠের পুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রলবোমা ও ককটেল হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা।
দগ্ধদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা। এদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আংশকাজনক বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের চিকিৎসকরা।
যাত্রাবাড়ী থানার ডিউটি অফিসর মো. শাজাহান বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্লোরি পরিবহনের বাসটি গুলিস্তান থেকে ডেমরা রোড দিয়ে নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জে যাওয়ার পথে যাত্রাবাড়ী থানার কাঠের পুল এলাকায় পৌঁছালে পেট্রোল বোমা ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে পুরো বাসে আগুন ধরে গেলে ২৯ জন যাত্রী দগ্ধ হয়। এছাড়া আহত হয় দুজন।
ঘটনার পর রাত পৌনে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ঢামেকের বার্ণ ইউনিটের প্রফেসর সাজ্জাত খন্দকার জানান, যাত্রাবাড়ীর ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢামেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আংশাজনক। তাদের শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া বাকি ২০ জনের শরীরের ২০ থেকে ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে বাস থেকে বের হতে গিয়ে অনেকের হাত পা ভেঙ্গে গেছে। অনেকের চিকিৎসার জন্য দ্রুত রক্তের প্রয়োজন। অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের নিবীড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বার্ণ ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সামন্ত লাল সেন।
দগ্ধরা হলেন- জয়নাল আবেদীন, ইসতিয়াক মো. বাবর, সালাউদ্দিন পলাশ, সালমান, নাজমুল হোসেন, মো. শরীফ, মো. রাশেদ, শাহিদা আক্তার, তার স্বামী ইয়াসির আরাফাত, সালাউদ্দিন, মোশারফ হোসেন, মো. হৃদয়, ওসমান গনি, মোহাম্মদ খোকন, মো. মোমেন, মো. হারিছ, নূর আলম, মো. ফারুক হোসেন, মো. সুমন, মো. রুবেল, আবুল হোসেন, শাজাহান সর্দার, মোজাফ্ফর মোল্লা, জাবেদ আলী, শহীদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও তানভির। ককটেল বিস্ফোরণে আহতরা হলেন তাকবিরুল ইসলাম, আফরোজা আক্তার।
ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, বাসে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়।