পুত্রহারা খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাওয়াকে ‘ছলনা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ববিবার এক বিবৃতিতে রিজভী আহমেদ বলেন, “কোকোর মৃত্যুতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত করতে আসাটাকে আমরা ‘ইতিবাচক’ অর্থেই গ্রহণ করেছিলাম। রাজনীতির বাইরে সামাজিক দায়িত্ববোধের তাগিদেই প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানাতে আসছেন বলে ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় এটা সুস্পষ্ট যে, কোকোর মৃত্যু সংবাদে প্রধানমন্ত্রীর সহানুভুতি জানাতে আসাটা ছিল নিছকই ‘ছলনা’, একটি প্রহসনের মহড়া মাত্র। কোকোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা জানানোটা যেন কুমিরের কান্না।”
সরকারবিরোধী আন্দোলনে লাগাতার অবরোধ আহ্বানকারী খালেদা গুলশানের এই কার্যালয়ে রয়েছেন। মালয়েশিয়া থাকা ছেলের মৃত্যুর খবর সেখানে বসেই পান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী গিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের ফটক বন্ধ থাকায় ঢুকতে পারেননি। তার সঙ্গে দেখাও করতে আসেননি বিএনপির কোনো নেতা বা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা।
এনিয়ে সমালোচনার মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে তখন ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী আসার পর খালেদা জিয়া জেগে খবর শুনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “পুত্রশোকে কাতর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে সরকার হিংস্র অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কতখানি নিষ্ঠুর ও বিবেকশুন্য হলে একটি সরকার এই জঘন্য অপকর্মটি করতে পারে তা দুনিয়াতে মনে হয় নজীরবিহীন।”
বিজ্ঞপ্তিতে গণতন্ত্র পূণঃরুদ্ধারের আন্দোলন গন্তব্যে না পৌঁছা পর্যন্ত ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ অবরোধ-হরতাল অব্যাহতভাবে থাকবে বলেও জানান রিজভী আহমেদ।