আটটি শিক্ষা বোর্ডে, মাদ্রাসা বোর্ড ও ভোকেশনালের অধীনে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে সোমবার। মোট পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন।
এরমধ্যে ৫১.৬% অর্থাৎ ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩৯ জন ছাত্র এবং ৪৮.৪% অর্থাৎ ৭ লাখ ১৫ হাজার ৯২৭ জন ছাত্রী।
এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৪৬ হাজার ৫৩৯ জন। গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, এবার ৩ হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে ২৭ হাজার ৮০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। গত বছরের থেকে এবার ৩১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ১৭৪টি কেন্দ্র বেড়েছে।
বিদেশে আটটি কেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এবার আটটি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৯১ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ জন ও এসএসসি ভোকেশনালে (কারিগরি) এক লাখ ১০ হাজার ২৯৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে বলে জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবার বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ইংরেজি প্রথমপত্র, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
গণিত ও উচ্চতর গণিত বিষয়েও সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সময়সূচিতে আগামী ১১ মার্চ সঙ্গীতের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ১২ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে বেসিক ট্রেডসহ এসএসসির সব বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
চূড়ান্ত সময়সূচি অনুযায়ী মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ মার্চ। ১৫ মার্চ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যে সকল ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করার কথা বলা হয়েছে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারো সকালের পরীক্ষা সকাল ১০ থেকে ১টা এবং বিকালের পরীক্ষা বিকাল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নেওয়া হবে।