নয়াদিল্লীর বিধান সভা নির্বাচনের আর মাত্র তিনদিন বাকি। জমে ওঠা শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তারকা রাজনীতিবিদরা।
নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং আম আদমি পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জনসভা করতে দেখা যাচ্ছে।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রচারণাকালে তিনদলই একে অন্যকে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করছে।
সোমবার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নতুন একটি পোস্টার প্রকাশ করে। এতে কেজরিওয়ালকে ধর্ণা রাজনীতির নেতা হিসেবে ব্যঙ্গ করা হয়। তাকে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী হিসেবেও বর্ণনা করা হয় পোস্টারে।
আম আদমী পার্টির প্রধান কেজরিওয়াল এজন্য বিজেপি’কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। না হয় তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করারও হুমকি দেন।
এছাড়া কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিং সমাজকে বর্ণ ও গোত্রে বিভাজিত করার জন্য বিজেপি’কে দায়ি করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোববার আয়োজিত এক জনসমাবেশে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, উভয় দলই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। ক্ষমতায় থাকাকালে কংগ্রেস দিল্লীবাসীর পানিসমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনডিএ সরকার পরে এ সমস্যার সমাধান করেছে।
নরেন্দ্র মোদি কেজরিওয়ালের সমালোচনা করে বলেন, জনগণ একবারই ভুল করেছে, বার বার করবে না। এক বছর আগে দিল্লীবাসী অনেক স্বপ্ন নিয়ে ভোট দিয়েছিল কিন্তু আপনারা তাদেরকে পেছন থেকে ছুরি মেরেছেন এবং তাদের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছেন। দিল্লী প্রতারকদের আর ভোট দেবে না।
সোনিয়া গান্ধি রোববার জনসমাবেশে বিজেপি’র তীব্র সমালোচনা করে বলেন, অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে মোদি সরকার ভূমি দখলের পথ প্রশস্ত করেছে।
তিনি সরকারের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ানোর জন্য আম আদমি পার্টির সমালোচনা করেন। তিনি প্রধান্মন্ত্রী মোদি ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সমালোচনা করে বলেন, একজন হলেন প্রচারক, অন্যজন ধর্ণাবাজ।
আম আদমির প্রধান কেজরিওয়ালও বিজেপিকে এক হাত নিতে ছাড়লেন না। তিনি মুদ্রাস্ফীতি ও বিদ্যুৎ শুল্ক কমানোর যে দাবি বিজেপি করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, আমি আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী দিল্লীর জন্য বড় ধরনের কোন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। কিন্তু তা না করে তিনি তার বক্তৃতায় ৭০ ভাগই আমার সমালোচনা করলেন। তিনি বলেন, আপ-এর ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। দিল্লীবাসী চায় আপ সরকার গঠন করুক।