বিশ্বকাপই এখন পাখির চোখ গতকালই বাবা হওয়া মহেন্দ্র সিংহ ধোনির। তাই সদ্যোজাত কন্যাকে দেখতে দেশে ফেরার কোনও পরিকল্পনাই নেই তাঁর।
ধোনি জানালেন, “মেয়েকে দেখবেন বিশ্বকাপের পরই। ধোনি বলেছেন, আমার মেয়ে হয়েছে। মা, মেয়ে-দুজনেই সুস্থ। কিন্তু আমি এখন দেশের হয়ে খেলতে বিদেশে রয়েছি। এখন খেলাটাই আমার কাছে আসল। বাকি সব পরে হবে। বিশ্বকাপটা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ।”
অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘ গ্রীষ্মকালীন সফরের পর ছুটি কাটিয়ে এখন তাঁর সতীর্থরা তরতাজা হয়ে উঠেছেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। দীর্ঘ সফরের ধকল দলের খেলোয়াড়দের ক্লান্ত করে তোলেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ তে হেরেছে ভারত। তারপর ত্রিদেশীয় সিরিজেও একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি ধোনি বাহিনী।
এ প্রসঙ্গেই ধোনি অ্যাডিলেডে সাংবাদিকদের বলেছেন, “অতিরিক্ত ধকলের কথা ঠিক নয়। তবে চারটি টেস্ট আর তারপর ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলাটা খুব সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু বিশ্বকাপে নামার আগে কয়েকদিনের ছুটিটা দলের প্লেয়ারদের তরতাজা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।”
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নামাটা আলাদা করে ভাবাচ্ছে না মাহিকে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেছেন, “দুই প্রতিবেশী দেশের ম্যাচের উত্তেজনা নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলেন। কিন্তু আমার আলাদা কিছু মনে হয় না। যেমন আমরা অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা বা অন্যান্য টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে মাঠে নামি, এক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই-ই। কারণ, ওরা আমাদের চিরশত্রু, এমন ভেবে যদি খেলতে নামি তবে নিজেকে চাপে ফেলা ছাড়া অন্য কিছু হবে না।”
ধোনি আরও বলেছেন, “বিগত কয়েক বছরে মাঠের আবহাওয়াটা অনেক বদলে গিয়েছে। দুই দলের খেলোয়াড়দের বাক-যুদ্ধও এখন খুব কম হয়। এভাবে খেলার স্পিরিট বজায় রেখে কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারাটা খুবই ভালো ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেছেন ধোনি। পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ দলের ওপর পড়বে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।”