গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্ব আয়ে নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। ২০১৪ সমাপ্ত বছরে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আয় ও ৫ কোটি গ্রাহক যোগ হয়েছে এ অপারেটরে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে কোম্পানির বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এসব কথা জানান গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রাজিব শেঠি।
তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরদের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে গ্রামীণফোন তাদের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। আলোচিত বছরে অপারেটরটিতে ৪৪ লাখ গ্রাহক নতুন যোগ হয়ে মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১৫ লাখ। একই সময়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১০ হাজার ২৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে। আর আগের বছরের তুলনায় ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকার নিট মুনাফা অর্জন করেছে কোম্পানিটি।
রাজিব শেঠি বলেন, ২০১৪ সালে দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। আর গ্রামীণফোনে এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে কোম্পানির মার্কেট শেয়ার ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৪২ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। । বাংলাদেশের মোবাইল মার্কেটে এ সেরার মুকুট ধরে রাখার পাশাপাশি ২০১৫ সালে আরও ভালো করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।
গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, বিগত বছরের মতো ২০১৪ সালেও গ্রামীণফোন বাংলাদেশের মোবাইল মার্কেটে লিড দিয়েছে। ব্যবসায়ীক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বিশেষ সুখবর দিচ্ছে কোম্পানিটি। বিগত বছরে প্রতিটি ১০ টাকার শেয়ারের জন্য ৬ দশমিক ৫ টাকা হারে পরিশোধিত মূলধনের ৬৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিচ্ছে শেয়ারহোল্ডারদের। যা ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রদান করা হবে।
এ সময় গ্রাহক বৃদ্ধি, আয় ও মুনাফায় প্রবৃদ্ধির সঙ্গে কোম্পানিটি সমাপ্ত বছরে ২জি ও ৩জি নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ১ হাজার ৫২০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া ২০১৩ সালে কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক), শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে সরকারি কোষাগারে গ্রামীণ ফোন জমা দিয়েছে ৫ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা।