প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জি টু জি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য সারাদেশে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৪ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর রেজিস্ট্রেশন করে ডাটাব্যাংক তৈরি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. মকবুল হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, এ ডাটা ব্যাংক থেকে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের কম্পিউটারাইজড দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে ৩৬ হাজার ৩৮ জনকে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে মেডিকেল টেস্টে ফিট কর্মীদের ফিঙ্গার প্রিণ্ট গ্রহণ, ছবি এবং পাসপোর্ট স্ক্যান করে প্রত্যেক কর্মীর পূর্ণাঙ্গ বায়োডাটাসহ ১০ হাজার কর্মীর তালিকা মালয়েশিয়া সরকারের নিকট পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের নিকট থেকে ৭ হাজার ৬২২ জন কর্মীর ভিসা রেফারেন্স পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬ হাজার ৮৯৭ জন কর্মী মালয়েশিয়া গমন করেছে। মালয়েশিয়া সরকারের চাহিদা পত্র পাওয়ার পর অবশিষ্ট কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠানো সম্ভব হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ৪ দলীয় জোট সরকার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কতিপয় অর্থলিপ্সু রিক্রুটিং এজেন্সি ও দালাল অভিবাসী কর্মীদের কাছ থেকে অভিবাসনের জন্য ৩-৪ লাখ টাকা নিয়েছে। তাদের অনেকেই কাজ না পেয়ে সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করেছে। যারা কাজ পেয়েছিল তারাও চুক্তিবদ্ধ সময়ের মধ্যে অভিবাসন বাবদ ব্যয়িত অর্থ উপার্জন করতে পারেনি, অর্থ-উপার্জনের জন্য সে দেশে অবৈধভাবে থেকে গেছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ অবস্থায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক বিশৃংখলা দেখা দিয়েছিল এবং কর্মীদের মর্যাদা ও অধিকার সংরক্ষণ ইস্যুতে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল।
তিনি বলেন, উপর্যুক্ত প্রেক্ষাপটে ২০০৯ সালে সরকার পুনরায় মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। অব্যাহত শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় অবশেষে মালয়েশিয়া সরকার প্রায় ২ লাখ ৬৭ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীকে বৈধতা দিয়েছে। বর্তমানে জি টু জি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এবং স্বল্প ব্যয়ে শুধু প্লানটেশন সেক্টরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, জি টু জি প্রক্রিয়ায় কর্মীরা বর্তমানে নামমাত্র ২৪ হাজার টাকায় মালয়েশিয়ায় গমন করতে পারছে।