দেশে চলমান পরিস্থিতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে ঝড় আসে, ঝঞ্জা আসে, অন্ধকার আসে। আবার চলেও যায়। আমার মনে হয়, অন্ধকারের মধ্যে আলোর ঝলকানি হয়তো কোন সময় দেখা যাবে। এ অবস্থা তো দীর্ঘকাল চলতে পারে না। তাই বলে আত্মবিনাশী আগুনে আমরা পুড়ে মরবো? এটার সমাধানও আছে, পরিণতিও আছে।”
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে সরকার ও দলের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত নেই বলেও জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হ্যানে ফুগল এসকেয়ারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত ডেনিস ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিভিন্ন পর্যায় থেকে সংলাপের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সংলাপের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারেও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি, দলেও আলোচনা হয়নি। আমাদের ওয়ার্কিং কমিটিতে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই মুহুর্তে সংলাপের পরিবেশ অনুকূলে নয়। আমি তো ভিন্ন কোন মন্তব্য করতে পারি না” বলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী।
কূটনৈতিক তৎপরতার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “কূটনৈতিক, বিদেশিদের উদ্বেগ থাকবেই। কারণ তাদের অনেকে আমাদের এখানে ডোনার, পার্টনার অব ডেভেলপমেন্ট। আন্তর্জাতিক একটা কমিউনিটি আছে, আমরা তো ফোরাম থেকে বিচ্ছিন্ন নই। তাদের উদ্বেগ থাকতে পারে। আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। সংলাপ করার জন্য সংলাপ করতে হবে। এমন সংলাপ করে তো লাভ নেই।”
পরিবহন খাতে সাড়ে ৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার
এসময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো জানান, হরতাল-অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন খাতের জন্য সাড়ে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে সাড়ে ৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী এ টাকা ইতোমধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ অর্থ তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘অবরোধে পরিবহন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিবহন সেক্টেরে প্রায় এক হাজার ২০০ গাড়ি অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে বিআরটিসির বাসও রয়েছে। এ পর্যন্ত ৪০ জন ড্রাইভার হেলপার মারা গেছেন।”
ডেনিশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “সড়ক ও সেতু বিভাগ মিলিয়ে ২৩টি পিপিপি (সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব) প্রজেক্ট রয়েছে আমাদের। এগুলো তাদের দেওয়া হয়েছে। বিবেচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নেবে কোন প্রকল্পগুলোতে তারা অংশ নেবে।”