আফগানিস্তানকে জয়ের জন্য ২৬৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে ইনিংসের শেষ বল শেষ উইকেটটি হারিয়েছে বাংলাদেশ। অলআউট হওয়ার আগে মাশরাফিবাহিনী সংগ্রহ করেছে ২৬৭ রান। শেষ বলে আফগানিস্তানের পেসার আফতাব আলমের বলে সরাসরি বোল্ডআউট হয়েছেন তাসকিন আহমেদ। মূলত দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর রেখেই এ সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেছেন মুশফিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন সাকিব।
মাত্র ১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। এর আগে সৌম্য-রিয়াদ প্রাথমিক বিপর্যয় সামলা দিয়েছিলেন। তবে বড় জুটি গড়তে পারেননি তারা। পর পর দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের রান আটকে ফেলেছিল আফগানিস্তান। এক পর্যায়ে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ২ উইকেটে ৬৭ রান। সেখান থেকেই সৌম্য-রিয়াদে রানে ফিরেছিল টাইগাররা। সৌম্য-রিয়াদ জুটি ৯.১ ওভারে ৫০ রানের জুটি গড়েছেন। কিন্তু দারুণ ব্যাটিংয়ের আশা জাগিয়ে সৌম্য ২৫ বলে ২৮ রানের এক ঝরো ইনিংস খেলে এলবিডাব্লিউর শিকার হয়েছেন। তিনি আউট হওয়ার পর রিয়াদও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকেননি। ব্যক্তিগত ২৩ রানে (৪৬ বলে) আফগানিস্তানের শাপুর জর্দানের বলে কট বিহাইন্ড হয়েছেন রিয়াদ। এরপর সাকিব-মুশফিক গড়েছেন ১১৪ রানের জুটি। সাকিব আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৬৩ রানে। মুশফিক আউট হয়েছেন ৭১ রানে।
মুশফিক যখন আউট হয়েছেন তখন ৪৭.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রান। এরপর ইনিংসের বাকি ১৫ বলে ২০ রান তুলতে বাকি ৩ উইকেট হারিয়েছে মাশরাফিরা। এর মধ্যে ৯ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক মাশরাফি।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে অনেকটা ধীরগতির সূচনা করেছিলেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। এতে রান তোলার চাপ তৈরি হয় তাদের ওপর। সেই চাপ কাটাতে মারমুখি হওয়ার আগেই ২ ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন আফগান বোলাররা। ২টি উইকেটই নিয়েছেন মিডিয়াম পেসার মিরওয়াইস আশরাফ। ৪২ বল থেকে ১৯ রানে তামিম ও ৫৫ বল থেকে ২৯ রানে এনামুল ফিরে গেছেন।
এর আগে বুধবার সকালে সকালে এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস ভাগ্যে জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা।